'বাঁধ ভেঙে বান এসেছে বানভাসি'

বৃষ্টি হয়। অতিবৃষ্টিতে বানভাসিও হয় বাংলা। চেনা ছবি দেখা যায় প্রায় প্রতি বর্ষাতেই। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার জল জমছে এমন সব জায়গায়, যে এলাকার মানুষ সাধারণত বানভাসি হন না।

Updated By: Aug 1, 2015, 10:06 PM IST
'বাঁধ ভেঙে বান এসেছে বানভাসি'

ব্যুরো: বৃষ্টি হয়। অতিবৃষ্টিতে বানভাসিও হয় বাংলা। চেনা ছবি দেখা যায় প্রায় প্রতি বর্ষাতেই। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার জল জমছে এমন সব জায়গায়, যে এলাকার মানুষ সাধারণত বানভাসি হন না।

দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি ঘিয়া ,কুন্তী, সরস্বতী, কানা নদীর। নদীনালার জলধারণ ক্ষমতা কমছে। সঙ্গে একটানা প্রবল বৃষ্টি আর ডিভিসির ছাড়া জল। প্লাবিত পাণ্ডুয়া, বলাগড়, পোলবা-দাদপুর, ধনেখালি, দশঘড়া, হরিপাল, জাঙ্গিপাড়া, চন্দনপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। পোলবা-দাদপুরে ভেঙে পড়ছে নির্মীণমাণ সেতু। চন্দনপুরের ঘিয়া নদীর বাঁধ ভেঙেছে। ধনেখালিতে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। ত্রাণ না পেয়ে হরাল-দাসপুর পঞ্চায়েতে ভাঙচুর করেন বন্যার্ত মানুষ।

নিকাশির সমস্যা মেনে নিয়েছেন খোদ মন্ত্রী।

পশ্চিম মেদিনীপুর

টানা বৃষ্টিতে  উপচে পড়ছে চন্দ্রকোনার অযোধ্যা খাল। বৈকুণ্ঠপুরে ভেঙেছে নদীবাঁধ। প্লাবিত দশটি গ্রাম প্লাবিত। ভেঙে পড়েছে কুড়িটি কাঁচা বাড়ি। ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ ।

উদ্ধার ও ত্রাণে ঘাটতির কথা মেনে নিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলরও।

সুদরার কাছে সেতু ভেঙে ষাট নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ।

বর্ধমান

লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বর্ধমানের জামালপুরের কুড়িটি গ্রাম। মেমারির বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। কালনার বন্যা পরিস্থিতিও জটিল । জল জমেছে ভাতারেও।  পূর্বস্থলী, কেতুগ্রামের অবস্থাও শোচনীয়। ভাগীরথীর সঙ্গে কুনুর এবং খড়ি নদীর জলও বাড়ছে।

নদিয়া

তিলপাড়া ব্যারেজের ছাড়া জলে বিপদসীমা ছাড়িয়েছে গঙ্গা। চাকদা ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম জলের তলায়। চরবীরপাড়ায় জলে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জল থইথই নবদ্বীপ। প্লাবিত নাকাশিপাড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।  জল জমে রয়েছে অগ্রদ্বীপঘাট, জগত্‍খালি, হাটচাপড়ায়।

 

.