চ্যালেঞ্জের পুরভোটে ফল আজ

আজ প্রকাশ হচ্ছে ছটি পুরসভার ভোটের ফল। রাজনৈতিক মহলের মতে, শক্তির নিরিখে রাজ্য রাজনীতির তিনপক্ষের কে কোথায় দাঁড়িয়ে তার আভাস পাওয়া যাবে এই ফলাফলে।

Updated By: Jun 4, 2012, 10:43 PM IST

আজ প্রকাশ হচ্ছে ছটি পুরসভার ভোটের ফল। রাজনৈতিক মহলের মতে, শক্তির নিরিখে রাজ্য রাজনীতির তিনপক্ষের কে কোথায় দাঁড়িয়ে তার আভাস পাওয়া যাবে এই ফলাফলে। 
বামেদের অভিযোগ, ভোটে একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস হয়েছে। নির্বাচনের মানুষকে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ  তুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেন, "ভোটের নিয়ম কানুন ভঙ্গ করে ভোটদানের প্রক্রিয়ায় জনগনকে বাধা দেওয়া হয়েছে।" বুথ থেকে পোলিং এজেন্টদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
জোটশরিক কংগ্রেসের দাবি, শান্তিপূর্ণ হয়নি ভোটপর্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন গতবারের বিধানসভা নির্বাচন এত বড় হওয়া সত্ত্বেও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা যায়নি। সেটা এবার হল না কেন সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। তাদের অভিযোগ, যোগাযোগ করা সত্ত্বেও সময়মতো প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, সন্ত্রাসের অভিযোগ, পরিকল্পিত কুত্সা। পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলও নেতা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু সহ কংগ্রেসের নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছেন।" 'অবাধ ও শান্তিপূর্ণ' পরিবেশেই ভোট হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের এই বাতাবরণে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার পুরভোটের ফল। তিনটি শিবিরেই চলছে ভোটঅঙ্কের চুলচেরা বিশ্লেষণ। আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল শিবিরের দাবি, ছটি পুরসভাই দখলে আসতে চলেছে তাদের। বামেদের হাতে ছিল হলদিয়া, দুর্গাপুর এবং ধূপগুড়ি পুরসভা। বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, পুরভোটকে কেন্দ্র করে যে লাগাতার সন্ত্রাস হয়েছে তাতে আগাম ফল বলা অসম্ভব। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে শুধুমাত্র কুপার্স ক্যাম্প। শঙ্কর সিংয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস শিবির আত্মবিশ্বাসী কুপার্স ধরে রাখতে পারবে তারা।
ছটি পুরসভার রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। একবছর সরকার পরিচালনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসমর্থন কোথায় দাঁড়িয়ে তার অ্যাসিড টেস্ট ভোটের ফলেই। পুরভোটে কিছুটা ভাল ফল করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে বাম শিবিরের। অন্যদিকে, জোট ভেঙে একক লড়াই করার শক্তি আদৌ কংগ্রেস রাখে কি না, তারও প্রমাণ মিলবে এবারের ভোটের ফলে।
ফল যাই হোক রাজনৈতিক মহলের মতে, সন্ত্রাস মুক্ত ভোটের যে স্লোগান দিয়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছিল, তা কিন্তু প্রথম দিন থেকেই বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। অপহরণ, ভাঙচুর, সন্ত্রাস রুখতে বহুক্ষেত্রেই যে পুলিস প্রশাসন কার্যত ব্যর্থ, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।

.