রেলের প্রকল্পও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
নয়াদিল্লির রেলভবনের নেমপ্লেটে মুকুল রায়ের নাম থাকলেও রেলের ক্ষেত্রে এখনও তিনিই শেষ কথা! সোমবার আরামবাগের অনুষ্ঠানেও তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রেলের অনুষ্ঠানে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আরামবাগ-তারকেশ্বর রেল লাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ২০০১ সালে অনুমোদন হওয়ার পর দীর্ঘ ৮-৯ বছর কোনও কাজ হয়নি প্রস্তাবিত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের অন্তর্গত এই প্রকল্পের।
নয়াদিল্লির রেলভবনের নেমপ্লেটে মুকুল রায়ের নাম থাকলেও রেলের ক্ষেত্রে এখনও তিনিই শেষ কথা! সোমবার আরামবাগের অনুষ্ঠানেও তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রেলের অনুষ্ঠানে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আরামবাগ-তারকেশ্বর রেল লাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ২০০১ সালে অনুমোদন হওয়ার পর দীর্ঘ ৮-৯ বছর কোনও কাজ হয়নি প্রস্তাবিত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের অন্তর্গত এই প্রকল্পের। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প রূপায়ণ করা হয়েছে।
এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই কারণেই প্রকল্প ঘোষণা আর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে সম্ভবত কোনও কসুরই করতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলির আরামবাগ যে বড়সড় চ্যালেঞ্জ, তা সম্ভবত বেশ বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই, গত সপ্তাহে ডানকুনির পর সোমবার আরামবাগে রেলের অনুষ্ঠানেও একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা করলেন তিনি। সোমবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আরামবাগ-তারকেশ্বর রেললাইনের। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরামবাগে পলিটেকনিক কলেজ, সিঙ্গুরে কৃষি কলেজ তৈরির মতো প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি হুগলিকে কেন্দ্র করে রেলের একাধিক প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে সোমবারের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আরামবাগ স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে প্রফুল্ল সেনের নামে রাখা হবে। মায়াপুর স্টেশনের নাম রাখা হবে রামমোহন রায়ের নামে। শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রাজা রামমোহন রায় এবং হাজি মহম্মদ মহসিনের নামেও স্টেশনের নাম রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে, সোমবারের কর্মসূচিতে রেলের ব্যবস্থাপনায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই নাকি নিজে নতুন রেললাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেননি তিনি। অন্যদিকে সোমবারের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফের সামনে চলে এসেছে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ। আরামবাগের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি স্থানীয় বাম সাংসদ শক্তিমোহন মালিক এবং আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যানকে।