বর্ধমান-কাণ্ডে সন্দেহভাজন জঙ্গি হাবিবুর শেখের স্কেচ তৈরি করছে পুলিস
বর্ধমান-কাণ্ডে সন্দেহভাজন জঙ্গি হাবিবুর শেখের স্কেচ তৈরি করছে পুলিস। বাবুরবাগের বাড়িতে পলাতক জঙ্গি কওসরের সঙ্গে থাকত হাবিবুর। খাগড়াগড়ের বাড়ি থেকে নম্বরবিহীন মোটরবাইকে বিস্ফোরক নিয়ে যেত কওসর। পুলিস ইতিমধ্যেই কওসরের স্কেচ তৈরি করে তার খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে। বাবুরবাগের যে বাড়িটিতে জঙ্গি ডেরা ছিল, সেই বাড়ির মালিক হাজি আবদুল রেজ্জাককে জেরা করছে পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান-কাণ্ডে সন্দেহভাজন জঙ্গি হাবিবুর শেখের স্কেচ তৈরি করছে পুলিস। বাবুরবাগের বাড়িতে পলাতক জঙ্গি কওসরের সঙ্গে থাকত হাবিবুর। খাগড়াগড়ের বাড়ি থেকে নম্বরবিহীন মোটরবাইকে বিস্ফোরক নিয়ে যেত কওসর। পুলিস ইতিমধ্যেই কওসরের স্কেচ তৈরি করে তার খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে। বাবুরবাগের যে বাড়িটিতে জঙ্গি ডেরা ছিল, সেই বাড়ির মালিক হাজি আবদুল রেজ্জাককে জেরা করছে পুলিস।
-------
বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বাড়িতে ভিডিওগ্রাফ করল সিআইডি। স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট সব্যসাচীরমন মিশ্রের নেতৃত্বে বিস্ফোরণস্থলের ভিডিওগ্রাফ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্যও রেকর্ড করেছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। খাগড়াগড়ের বাড়ির পর বাবুরবাগের বাড়িতেও ভিডিওগ্রাফ করে সিআইডি।
------
স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামের সাহায্যে বর্ধমানের বাবুরবাগের বাড়ি ভাড়া নেয় হাবিবুল। বাড়ির মালিক আব্দুল রেজ্জাকের সঙ্গে হাবিবুলের পরিচয় করিয়ে দেন ওই ইমাম। সিআইডি সূত্রে খবর, আব্দুল রেজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিআইডি। আজ বর্ধমান থানায় ডেকে পাঠিয়ে বাবুরবাগের বাড়ির মালিক আব্দুল রেজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, ইমামের সাহায্যে হাবিবুল বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর সেখানে আসে কৌসর। তবে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় হাবিবুলের সঙ্গে আর কেউ এসেছিল কিনা, কত টাকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়, ভাড়া দেওয়ার সময় কোনও পরিচয়পত্র চাওয়া হয় কিনা, তা নিয়েও আব্দুল রেজ্জাককে জিজ্ঞাসা করা হবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
--------
খাগড়ারগড়ের বাড়ি ছেড়ে দ্রুত অন্য একটি ডেরার সন্ধান করছিল শাকিল ও তাঁর দলবল। বিস্ফোরণ স্থল থেকে ধৃত আবুল হাকিমকে জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। নতুন জঙ্গি ডেরার জন্য বর্ধমান শহরের কাছেই একটি জায়গা দেখেছিল তারা। সেজন্য বিস্ফোরণের তিন দিন আগে নদিয়ার করিমপুরের বাড়ি থেকে তিরিশ হাজার টাকাও নিয়ে এসেছিল রাজিয়া। বাংলাদেশের যোগাযোগ থেকেই ওই টাকা করিমপুরের বাড়িতে পৌছে গিয়েছিল বলে মনে করছে গোয়েন্দারা। বাকি চোদ্দ হাজার টাকা দিয়েছিল রেজাউল। বিস্ফোরণের বাড়ি থেকে সেই চুয়াল্লিশহাজার টাকাই উদ্ধার হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছে আবুল হাকিম। দোসরা অক্টোবর বিস্ফোরণের সময় আবুল হাকিম ওই ঘর থেকে বের হচ্ছিল। ফলে বিস্ফোরণে তার দেহের পিছনের অংশ জখম হয়। আহত অবস্থাতেই সে ফোন করে রেজাউল ও তাঁর বাবা মণ্টু শেখকে সাবধান করে দেয় বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। বিস্ফোরণের পর উদ্ধার হওয়া মোবাইলের সিম কার্ড থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। জানা গিয়েছে, রাজিয়ার একটি মোবাইল থেকে উত্তর প্রদেশ তামিলনাড়ু এবং মুম্বইয়ের কয়েকটি নম্বরে নিয়মিত ফোন করা হত। সেই সব জায়গাতেও এই জঙ্গি মডিউলের ছড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। জঙ্গিযোগের সম্পর্কে তথ্য পেতে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে খাগড়াগড় ও বাবুরবাগের বাড়ির মালিককে।
-------
সওয়ারের হদিশ নেই। কিন্তু বাহনের হদিশ পেল পুলিস। বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে অন্যতন মূল অভিযুক্ত কওসরের বাইক উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। দোসরা অক্টোবর খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই, হাসান চৌধুরীর বাড়ির সামনে থেকে তদন্তকারীরা ওই বাইকটি বাজেয়াপ্ত করেন। কিন্তু তখনও জানা ছিল না যে এই বাইকেই যাতায়াত করতেন কেরিয়ার কওসর। তদন্ত এগনোর সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসছে নানা তথ্য। গোয়েন্দারা এবিষয়ে একরকম নিশ্চিত, এই বাইক নিয়েই খাগড়াগড়, বাবুরবাগের মতো বিভিন্ন ডেরায় যাতায়াত করত কওসর। সঙ্গে থাকত বিস্ফোরকের সরঞ্জাম। খাগড়াগড়ের বাড়ি থেকে তিনবার গ্রেনেড এই বাইকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে প্রায় নিশ্চিত গোয়েন্দারা। বাইকে এরাজ্যেরই নম্বর প্লেট লাগানো আছে। বাইকের নম্বর WB 52 A, 9185।