বাদশাহি রোডের জঙ্গি ডেরা থেকে উদ্ধার হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা হল দামোদরের চরে
বাদশাহি রোডের জঙ্গি ডেরা থেকে উদ্ধার ২৬টি ইম্প্রোভাইজড হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্কিয় করা হল দামোদরের চরে। যে জঙ্গি ডেরায় তল্লাসিতে কিছুই পায়নি জেলা পুলিস ও সিআইডি, সেই বাড়িতেই মিলেছে গোপন অস্ত্রভাণ্ডার। উদ্ধার হয়েছে ২৬টি তাজা ইম্প্রোভাইসড হ্যান্ড গ্রেনেড ও ৪টি গ্রেনেডের খোল। ওই বাড়ির শৌচাগারের ওপর লুকানো বাঙ্কারে ওই অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পায় এনএসজি ও এনআইএ। রাতে গ্রেনেডগুলি নিস্ক্রিয় করার জন্য ট্রেঞ্চ কেটে পুঁতে রাখা হয় দামোদরের চরে।
ওয়েব ডেস্ক: বাদশাহি রোডের জঙ্গি ডেরা থেকে উদ্ধার ২৬টি ইম্প্রোভাইজড হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্কিয় করা হল দামোদরের চরে। যে জঙ্গি ডেরায় তল্লাসিতে কিছুই পায়নি জেলা পুলিস ও সিআইডি, সেই বাড়িতেই মিলেছে গোপন অস্ত্রভাণ্ডার। উদ্ধার হয়েছে ২৬টি তাজা ইম্প্রোভাইসড হ্যান্ড গ্রেনেড ও ৪টি গ্রেনেডের খোল। ওই বাড়ির শৌচাগারের ওপর লুকানো বাঙ্কারে ওই অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পায় এনএসজি ও এনআইএ। রাতে গ্রেনেডগুলি নিস্ক্রিয় করার জন্য ট্রেঞ্চ কেটে পুঁতে রাখা হয় দামোদরের চরে।
খাগড়াগড় থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দুরে বাদশাহী রোড মাঠপাড়া। এখানেই ছিল জঙ্গিদের আরেকটা ঘাঁটি। এনআইয়ের তল্লাসিতে এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল বস্তা বোঝাই হ্যান্ড গ্রেনেড। এর আগে এই বাড়িতেই একাধিকবার জেলা পুলিস ও সিআইডি যৌথ তল্লাসি চালিয়েছে। মেলেনি কিছুই। অথচ এনআইএ-র তল্লাসিতে সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল প্রচুর হ্যান্ড গ্রেনেড।
সন্দেহের শুরু
------------
কীভাবে হ্যান্ড গ্রেনেডের সন্ধান পেল এনআইএ টিম? তদন্তের নায়ক দুই স্নিফার ডগ। তাদের দেখানো পথেই ঘরের মধ্যে লুকনো কুঠুরির সন্ধান পায় এনআইএ।
বাঙ্কারে হ্যান্ড গ্রেনেডের স্তুপ
----------------------
বাড়ির মধ্যে একটি শৌচাগারের অস্বাভাবিক গড়ন দেখেই সন্দেহ দানা বাঁধে গোয়েন্দাদের। শৌচাগারটি মেঝের থেকে অনেকটা নীচে। এতেই সন্দেহ আরও জোরালো হয় গোয়েন্দাদের। সঙ্গে থাকা স্নিফার ডগরাও সংকেত দিতে থাকে বিপদের। সাধারণভাবে ধরা না পড়লেও বিশেষ তল্লাসিতে শৌচালয়ের ওপরেই সন্ধান মেলে লুকনো বাঙ্কারের। বাঙ্কারে তল্লাসি চালাতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর হ্যান্ড গ্রেনেড।
বাদশাহী অস্ত্রভাণ্ডার
------
লুকনো বাঙ্কার থেকে উদ্ধার হয়েছে ছাব্বিশটি তাজা ইম্প্রোভাইসড হ্যান্ড গ্রেনেড ও চারটি গ্রেনেডের খোল। চারইঞ্চি লম্বা জিআই পাইপের একদিকে বিস্ফোরক ও অন্যদিকে স্প্লিন্টারভরে তৈরি হত এই গ্রেনেড।
গ্রেনেড সতর্কতা
-----------------
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে সেন্ট্রাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিম। সতর্ক করে দেওয়া এলাকার বাসিন্দাদের। বাড়ি লাগোয়া বেশকয়েকটি বাড়ি পুরো ফাঁকা করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন এনআইএ-র ডিআইজি অনুরাগ তঙ্কা ও জেলা পুলিস সুপার এসএমএইচ মির্জা।
বাদশাহী-বিস্ফোরণ যোগ
------------
বাদশাহী রোডের এই বাড়িতেই থাকত রেজাউল করিম ও তার বাবা মন্টু শেখ। বিস্ফোরণে জখম আবুল হাকিমের হাতে লেখা একটি নম্বর থেকেই রেজাউলের নাম উঠে আসে। তদন্তে জানা যায় বিস্ফোরণের অন্যতম পাণ্ডা শাকিল গাজির ঘনিষ্ঠ ছিল রেজাউল।
বাদশাহী বাড়ির বৃত্তান্ত
----------------
বছর দেড়েক আগে তৈরি হয়েছিল এই বাড়ি। রেজাউল কয়েকমাস আগে এসে উঠেছিল এই বাড়িতে।
বেপাত্তা রেজাউল
---------------
পেশায় রাজমিস্ত্রী রেজাউল করিম ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা। রেজাউলের মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতেও তল্লাসি হয়েছে।রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতে ত খোজ মেলেনি রেজাউল শেখ ও তার বাবা মন্টু শেখের।
বৃহস্পতিবার রাতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দামোদরের চরে ট্রেঞ্চ কেটে পুঁতে রাখা হয় বিস্ফোরকগুলি।