সুবর্ণরেখা বইঘর ছেড়ে দিতে নটিশ বিশ্বভারতীর

শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী সুবর্ণরেখা বইয়ের দোকানের ঘর ছেড়ে দেওয়ার নোটিস পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমাসের ৯ তারিখ প্রয়াত হন সুবর্ণরেখার কর্ণধার এবং বিশিষ্ট পুস্তক প্রকাশক ইন্দ্রনাথ মজুমদার। বিশ্বভারতীর একটি বাড়িতে চালু ছিল ওই দোকান। নোটিসে জানানো হয়েছে, ৪ জুনের মধ্যে ওই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে হবে। ইন্দ্রনাথ মজুমদারের মৃত্যুর কয়েকদিনের মধ্যে বিশ্বভারতীর এই নোটিস জারি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।

Updated By: May 19, 2013, 11:31 AM IST

শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী সুবর্ণরেখা বইয়ের দোকানের ঘর ছেড়ে দেওয়ার নোটিস পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমাসের ৯ তারিখ প্রয়াত হন সুবর্ণরেখার কর্ণধার এবং বিশিষ্ট পুস্তক প্রকাশক ইন্দ্রনাথ মজুমদার। বিশ্বভারতীর একটি বাড়িতে চালু ছিল ওই দোকান। নোটিসে জানানো হয়েছে, ৪ জুনের মধ্যে ওই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে হবে। ইন্দ্রনাথ মজুমদারের মৃত্যুর কয়েকদিনের মধ্যে বিশ্বভারতীর এই নোটিস জারি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাছেই সুবর্ণরেখা। বাংলা পুস্তক প্রকাশনার জগতে সুপিরিচিত এই  সংস্থার খ্যাতি ছিল দুষ্প্রাপ্য বইয়ের জন্য। নিজে নানা এলাকা ঘুরে সংগ্রহ করে সেই সব বই গবেষকদের হাতে পৌঁছে দিতেন কর্নধার ইন্দ্রনাথ মজুমদার। ছাপতেন বহু মূল্যবান পাণ্ডুলিপি। দোকানে নানা বিষয়ের বই পাওয়া যেত। বিশ্বভারতীর প্রকাশনা বিভাগের নানা বইয়ের খোঁজও মিলত সুবর্ণরেখায়। মাঝে মাঝেই সুবর্ণরেখায় বসত সাহিত্য সভা। বিশ্বভারতীর একটি বাড়িতে চালু ছিল ওই দোকান। এমাসের ন তারিখ প্রয়াত হন সুবর্ণরেখার কর্ণধার ইন্দ্রনাথ মজুমদার। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ঘর ছেড়ে দেওয়ার নোটিস বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।
 
ইন্দ্রনাথ মজুমদারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই  ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য সুবর্ণরেখাকে নোটিস পাঠানোর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন। ঘটনাটিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তুঘলকি সিদ্ধান্তের বহিপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী।  
 
রবিবার বিকেলে সুবর্ণরেখাতেই ইন্দ্রনাথ মজুমদারের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই দোকানটির উচ্ছেদ ঠেকাতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের আর্জি জানাতে পারেন শান্তিনিকেতনের বিশিষ্ট জনেরা। 

.