নজরবন্দি অনুব্রত, তবু বীরভূমের ভোট নিয়ে আশঙ্কিত বিরোধী শিবির
পরের পর হুমকি বিরোধীদের। অবশেষে কমিশনের নজরবন্দি অনুব্রত। কিন্তু তাতেও বীরভূমের ভোট নিয়ে আশঙ্কিত বিরোধী শিবির। এই যেমন ভোটের আগের দিন অশান্তি ছড়াল নানুরে। যজ্ঞিনগর গ্রামে হানা দিল বাইক বাহিনী। চলল মারধর, ভাঙচুর। আক্রান্তদের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করলেন অনুব্রত মণ্ডল স্বয়ং।
ওয়েব ডেস্ক: পরের পর হুমকি বিরোধীদের। অবশেষে কমিশনের নজরবন্দি অনুব্রত। কিন্তু তাতেও বীরভূমের ভোট নিয়ে আশঙ্কিত বিরোধী শিবির। এই যেমন ভোটের আগের দিন অশান্তি ছড়াল নানুরে। যজ্ঞিনগর গ্রামে হানা দিল বাইক বাহিনী। চলল মারধর, ভাঙচুর। আক্রান্তদের অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করলেন অনুব্রত মণ্ডল স্বয়ং।
অশান্ত নানুর
বাইক বাহিনীর 'তাণ্ডব'
ভোটের চব্বিশ ঘণ্টা আগেই অশান্ত বীরভূমের নানুর। শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ যজ্ঞিনগর গ্রামে হানা দেয় বাইকবাহিনী। ভাঙচুর করা হয় সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি। মারধর করে হুমকি দেওযা হয় সিপিএম সমর্থকদের। আক্রান্তদের অভিযোগ, হামলাকারীরা তৃণমূল সমর্থক।
হামলার সময় ছিড়ে ফেলা হয় সিপিএমের পোস্টার, ভাঙচুর করা হয় সাইকেল। ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর গ্রামে ঢোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পৌছয় কুইক রেসপন্স টিমও। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা।
বাইক বাহিনীর 'হুমকি'
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূলকে ভোট না দিলে ফের হামলার হুমকি দিয়েছে বাইক বাহিনী। পুরো ঘটনা কমিশনের নজরে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলাসভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় টহল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে এখনও আতঙ্ক কাটেনি গ্রামবাসীদের। এদিনের ঘটনার পর কি নিশ্চিন্তে ভোট দিতে যেতে পারবেন যজ্ঞিনগরের ভোটাররা? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।