আরাবুল-রেজ্জাক-কাইজার সবাই 'এক', ভাঙড়ে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি 'কোন্দল নয়'

কোন্দল নয়। ভাঙড়ের ভাঙা ঘর সামলাতে জেলা নেতাদের একসঙ্গে এনে জোটবার্তা পৌছে দেওয়াই এখন শাসকদলের অন্যতম রণকৌশল। জেলার দাপুটে নেতা আরাবুল-রেজ্জাক-কাইজারদের একসঙ্গে এনেই তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে শাসকদল। মঙ্গলবারের অশান্ত ভাঙড় বুধবার অনেকটাই শান্ত। থমথমে। যদিও চাপা উত্তেজনা রয়েছে মাছিভাঙা, খামারআইট,সুতি গ্রামে। বিরোধীরা  বলছেন জমি আন্দোলনের পুরনো ছবিই ফিরে এসেছে ভাঙড়ের মাটিতে।

Updated By: Jan 19, 2017, 08:40 AM IST
আরাবুল-রেজ্জাক-কাইজার সবাই 'এক', ভাঙড়ে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি 'কোন্দল নয়'

ওয়েব ডেস্ক: কোন্দল নয়। ভাঙড়ের ভাঙা ঘর সামলাতে জেলা নেতাদের একসঙ্গে এনে জোটবার্তা পৌছে দেওয়াই এখন শাসকদলের অন্যতম রণকৌশল। জেলার দাপুটে নেতা আরাবুল-রেজ্জাক-কাইজারদের একসঙ্গে এনেই তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে শাসকদল। মঙ্গলবারের অশান্ত ভাঙড় বুধবার অনেকটাই শান্ত। থমথমে। যদিও চাপা উত্তেজনা রয়েছে মাছিভাঙা, খামারআইট,সুতি গ্রামে। বিরোধীরা  বলছেন জমি আন্দোলনের পুরনো ছবিই ফিরে এসেছে ভাঙড়ের মাটিতে।

শিল্প- উন্নয়ন-জমি। আবার সেই পুরনো বিবাদ। শুক্রবারই শহরে বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন। তার আগে ভাঙড় পরিস্থিতি সামাল দিতে মরিয়া শাসকদল। ভাঙড় মানেই আরাবুলের শাসন। সেই আরাবুলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা।

কিন্তু যার বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ সেই আরাবুলকে সঙ্গে নিয়েই ভাঙড়ের মাটিতে ঘুরতে দেখা গেছে দলের শীর্ষ নেতা মুকুল রায়কে। আরাবুল-রেজ্জাক-কাইজারদের নিয়ে বসেছে দলের স্ট্র্যাটেজি বৈঠক। কিন্তু যাদের দেখলেই ফুঁসে উঠছে ভাঙড়, কেন তাদের পাশে রাখছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব? সূত্রের খবর এখানেও যথেষ্টই আরও কৌশলী তৃণমূল। কঠিন সময়ে কোন্দল ভুলে জোট বেধে পরিস্থিতি মোকাবিলাই দলের লক্ষ্য। দলীয় কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে যাতে বিরোধী শক্তি ঘর গুছোতে না পারে সে পথ বন্ধ করতে চাইছে তৃণমূল। দলীয় নেতাদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দল। তাই একসুরে আরাবুল-রেজ্জাক দুজনেই ভাঙড় কাণ্ডের দায় ঠেলেছে বহিরাগতদের দিকেই।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেরও দাবি, দলীয় কোন্দলকে আর সামনে আনতে নারাজ শাসকদল। আরাবুল-রেজ্জাক দুই নেতাকে নিয়েই এখন ভাঙড়ের ভাঙা ঘর সামলাতে চাইছে তৃণমূল।

.