দেনায় জর্জরিত রাজ্যের কোষগারের দমবন্ধ, ঋণের ভারে বাঁংলার অর্থনীতি বিশবাঁও জলে

রাজ্যের কোষাগারের দমবন্ধ করে দিচ্ছে দেনার নাগপাশ। গত তিনবছরে সরকার দেনা করেছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই সময়ে আয় প্রায় দ্বিগুণ হলেও, দেনার অর্থনীতি উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Updated By: Feb 15, 2014, 09:04 PM IST

রাজ্যের কোষাগারের দমবন্ধ করে দিচ্ছে দেনার নাগপাশ। গত তিনবছরে সরকার দেনা করেছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই সময়ে আয় প্রায় দ্বিগুণ হলেও, দেনার অর্থনীতি উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

পালাবদলের সময়ে রাজ্যের দেনা ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা। এই ঋণের সুদ মেটাতেই খালি হয়ে যাচ্ছে কোষাগার। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন। জনসভা থেকে শিল্প সম্মেলন। আর্থিক দুর্দশার জন্য সর্বত্রই বাম জমানাকে দূষেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তারপর তিন-তিনটে বাজেট পেশ করেছেন নতুন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। দোরগোড়ায় আরও একটি বাজেট। এই তিনবছরে আদৌ কি মিটেছে কোষাগারের দৈন্যদশা? এব্যাপারে অর্থমন্ত্রীকে ডাহা ফেল করাচ্ছে তাঁরই বাজেট বইয়ের তথ্য।

পালাবদলের সময়ে সরকারের দেনা ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা

প্রথম অর্থবর্ষের শেষে দেনা বেড়ে হয় ২ লক্ষ ৭ হাজার ৭০২ কোটি টাকা

দ্বিতীয় অর্থবর্ষ শেষে ২লক্ষ ২৬ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা

অমিতবাবুর বাজেট বই বলছে চলতি অর্থবর্ষের শেষে ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪২২ কোটি টাকায়
তিনবছরে দেনা বৃদ্ধির পরিমাণ ৫৫ হাজার কোটি টাকা।

পরিসংখ্যান বলছে, দেনার দৌড়ে পিছিয়ে নেই বর্তমান সরকারও।যদিও, গত তিনবছরে সরকারের খরচ বেড়েছে সামান্যই।

পেনশন খাতে সরকারের ব্যয় বেড়েছে ৪২১ কোটি টাকা
বেতন খাতে সরকারের ব্যয় বেড়েছে ৫ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা
ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ব্যয় বেড়েছে ১১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা

অন্যদিকে, পালাবদলের পর গত তিন বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে রাজ্যের আয়।

২০১০-২০১১ অর্থবর্ষে সরকারের আয় ছিল ২১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা
২০১২-২০১৪ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে হয় ৩২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা
চলতি অর্থবর্ষে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩৯ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা

প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আয়কে সাফল্যের সঙ্গে প্রায় দ্বিগুণে নিয়ে গেলও, ঋণের ওপর কেন লাগাম টানতে পারছেন না অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র?

.