গণনাপর্বে অশান্তির আশঙ্কায় কমিশনের দ্বারস্থ বিরোধীরা
ভোটের ফল বেরনোর পর হিংসা এড়াতে পুলিসের অনুমতি ছাড়া বিজয় মিছিল করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। গণনাপর্বে অশান্তির আশঙ্কায়, গণনা কেন্দ্রে এজেন্টদের নিরাপত্তার দাবিতে ইতিমধ্যেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীরা।
ভোটের ফল বেরনোর পর হিংসা এড়াতে পুলিসের অনুমতি ছাড়া বিজয় মিছিল করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। গণনাপর্বে অশান্তির আশঙ্কায়, গণনা কেন্দ্রে এজেন্টদের নিরাপত্তার দাবিতে ইতিমধ্যেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীরা। তবে, ভোটপর্বের মতো গণনার আগের দিনও রাজ্যের মন্ত্রীরা কমিশনকে আক্রমণ করায় ভোটগণনা নির্বিঘ্নে শেষ হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হিংসা, মৃত্যু, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন। অভিযোগ বিরোধীদের। তাই ভোটের ফলও একপেশে হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। একতরফা জয়ের ব্যাপারে নিঃসন্দেহ শাসকদলও। তেরো না চোদ্দো, কটা জেলা পরিষদ হাতে আসবে সেই হিসেব-নিকেশেই ব্যস্ত তৃণমূল নেতারা। তারপরের ছবিটা কেমন হবে, পরিবহণমন্ত্রীর গলায় যেন তারই ইঙ্গিত।
শনিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন, সিপিআইএমের বাবুরা সন্ত্রাস সন্ত্রাস করে চেঁচাচ্ছেন। আর তাঁদের সঙ্গে দাঁড়কাকের মতো গলা মেলাচ্ছেন কেউ কেউ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, তৃণমূলের নেত্রী হিসেবে একথা বলতেই পারি। এসবের পরিণাম হবে ভয়ঙ্কর। গণনাপর্বের সময়ও সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। গণনাপর্ব শান্তিতে মেটানোর আর্জি জানিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসের আশঙ্কার পাশাপাশি বেনিয়মের অভিযোগও করছে বামেরা। শাসকদল যে নির্বাচন কমিশনকে পরোয়া করছে না গণনার আগের দিনও তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। গণনাকেন্দ্রের চারপাশে একশো চুয়াল্লিশ ধারা, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, সিসিটিভি বসানোর পাশাপাশি এবার বিজয় মিছিলের ক্ষেত্রেও শর্ত চাপিয়েছে কমিশন।