বাঁকুড়া মেডিক্যাল ধর্ষণকাণ্ডে সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ

বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিত্‍সক রামকৃষ্ণ সরকারের সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ হল মঙ্গলবার। ঘটনার দিন নিগৃহীতা মেয়েটির মা যেহেতু অভিযুক্ত চিকিত্‍সককে দেখেছিলেন, তাই মেয়ের সঙ্গে তিনিও ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন মঙ্গলবার। বাঁকুড়া জেলা আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়প্রকাশ সিং এর উপস্থিতিতে জেলের ভিতরে সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অভিযোগকারী তরুনী মূক ও বধির হওয়ায় তাঁর বক্তব্য বোঝার জন্য মঙ্গলবারও কাঁথি থেকে দুজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

Updated By: Mar 6, 2012, 10:48 PM IST

বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিত্‍সক রামকৃষ্ণ সরকারের সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষ হল মঙ্গলবার। ঘটনার দিন নিগৃহীতা মেয়েটির মা যেহেতু অভিযুক্ত চিকিত্‍সককে দেখেছিলেন, তাই মেয়ের সঙ্গে তিনিও ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন মঙ্গলবার। বাঁকুড়া জেলা আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়প্রকাশ সিং এর উপস্থিতিতে জেলের ভিতরে সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অভিযোগকারী তরুনী মূক ও বধির হওয়ায় তাঁর বক্তব্য বোঝার জন্য মঙ্গলবারও কাঁথি থেকে দুজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে শারীরিক পরীক্ষার নামে মূক ও বধির ওই রোগিণীকে হাসপাতালের `ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ড`-এর মধ্যই ধর্ষণ করা হয়েছে বলে এক জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ধর্ষিতার বাবা। তার আগে হাসপাতালের সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী ওই রোগিণীর বাবা। তবে অভিযোগপত্রে নির্দিষ্ট কোনও চিকিত্‍সকের নাম উল্লেখ ছিল না।
২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ফিমেল ওয়ার্ডে ভর্তি হন মূক ও বধির ওই তরুণী। মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী রাত ১১ টা নাগাদ শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য একটি কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মেয়েকে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও মেয়ে না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পাশের কেবিনে গিয়ে যান তিনি। দরজা বন্ধ থাকায় জোরে ধাক্কা দিল দরজা খুলে দেন অভিযুক্ত চিকিত্‍সক নিজেই। মেয়েক বিবস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখে বিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। সেই সময় রোগিণীর বাবাও সেখানে উপস্থিত হন। ঘটনা আন্দাজ করতে পেরে চিকিত্‍সকের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললে তাঁদেরকে শাসানির মুখে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ করেছিলেন ধর্ষিতার মা। এরপর থেকে ওই চিকিত্সককে আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা নাগাদ হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডুর কাছে জানান হয়েছিল অভিযোগ। তবে চিকিত্সকের নাম না জানা থাকায় অভিযোগপত্রে কোনও নির্দিষ্ট নামের উল্লেখ করতে পারেনি ধর্ষিতার পরিবার। ওই চিকিত্‍সকের চেহারার বিবরণ দিয়েই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী প্রতিমা বিশ্বাসের সঙ্গেও তাঁরা দেখা করেছিলেন।
ধর্ষিতার পরিবার থেকে অভিযোগ করার পর ধর্ষিতার মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। এরপর ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ধর্ষিতার পোশাক ও বিছানার চাদর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল।

.