হাড়োয়া থেকে গ্রফতার বাংলাদেশের দাউদ সুব্রত বায়েন

ভারতে যেমন দাউদ ইব্রাহীম, তেমনই বাংলাদেশের সুব্রত বায়েন। ভারতে বসেই বাংলাদেশের আন্ডার ওয়ার্ল্ডকে নিয়ন্ত্রণ করত সে। ১৯৮৬ সালে আলম মার্ডার কেসের মধ্যেদিয়ে তাঁর অন্ধকার জগতে প্রবেশ। ডজনখানেক খুনে হাত পাকিয়েছিল সুব্রত ওরফে শুভ্র বায়েন। যার মধ্যে বেশকিছু রানৈতিক খুনও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসুত বলে পুলিসের মত। ২০০৪ সালে অগাস্ট মাসে ঢাকায় আওয়ামি লিগের সভায় গ্রেনেড হামলার পেছনেও ছিল তাঁর হাত। ঢাকায় অন্ধকার জগতের কুখ্যাত গ্যাং `সেভেন স্টারে`র মাস্টারমাইন ছিলেন এই সুব্রত বায়েন। বাংলাদেশের রাজধানীতে এমন কোনও ব্যবসায়ী নেই যিনি বায়েন ভাইয়ের হুমকি অগ্রাহ্য করতে পেরছেন। খুন, তোলাবাজি, সরকারি টেন্ডার পাইয়ে কাটমানি, বাংলাদেশের এস কোম্পানির জাল ছড়িয়েপরে মধ্যপ্রাচ্য এমনকী চিনেও।

Updated By: Dec 9, 2012, 11:03 PM IST

ভারতে যেমন দাউদ ইব্রাহীম, তেমনই বাংলাদেশের সুব্রত বায়েন। ভারতে বসেই বাংলাদেশের আন্ডার ওয়ার্ল্ডকে নিয়ন্ত্রণ করত সে। ১৯৮৬ সালে আলম মার্ডার কেসের মধ্যেদিয়ে তাঁর অন্ধকার জগতে প্রবেশ। ডজনখানেক খুনে হাত পাকিয়েছিল সুব্রত ওরফে শুভ্র বায়েন। যার মধ্যে বেশকিছু রানৈতিক খুনও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসুত বলে পুলিসের মত। ২০০৪ সালে অগাস্ট মাসে ঢাকায় আওয়ামি লিগের সভায় গ্রেনেড হামলার পেছনেও ছিল তাঁর হাত। ঢাকায় অন্ধকার জগতের কুখ্যাত গ্যাং `সেভেন স্টারে`র মাস্টারমাইন ছিলেন এই সুব্রত বায়েন। বাংলাদেশের রাজধানীতে এমন কোনও ব্যবসায়ী নেই যিনি বায়েন ভাইয়ের হুমকি অগ্রাহ্য করতে পেরছেন। খুন, তোলাবাজি, সরকারি টেন্ডার পাইয়ে কাটমানি, বাংলাদেশের এস কোম্পানির জাল ছড়িয়েপরে মধ্যপ্রাচ্য এমনকী চিনেও।
২০০৮ সালে কলকাতা পুলিসের এস টি এফের হাতে ধরা পরে সুব্রত। এরপর ২০০৯ সালে নেপাল সীমান্তে ফের গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত ৮ নভেম্বর নেপালের ঝুমকা জেলে ৮০ ফুট সুরঙ্গ কেটে অন্য বন্দিদের সঙ্গে পালায় বাংলাদেশের দাউদ সুব্রত বায়েন। `মোস্ট ওয়ান্টেড` এই আসামী শেষমেশ ধরা দিল এরাজ্যেই। দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে থেকে বাংলাদেশের আন্ডার ওয়ার্ডকে নিয়িন্ত্রণ করার জন্য এরাজ্যের বেশকিছু কুখ্যাত অপরাধীও ছিল সুব্রত বায়েনের নিয়ন্ত্রণে। নেপালের জেল থেকে পালানোর পর তাঁদের টার্গেট করে কলকতা এস টি এফ। সেইসূত্রেই খবর আসে কিষাণগঞ্জ থেকে মালদায় ঢুকেছে সুব্রত বায়েন। কিন্তু গোয়েন্দারা পৌছানোর আগেই সেখান থেকে হাওয়া হয়ে যায় সে। পরের ডেরা বীরভূম। নিজের নেটওয়ার্কেই সে আগেভাগেই খরব পেয়ে যায় পুলিস ধাওয়া করেছে। এখানেও ব্যর্থ হন গোয়েন্দারা। এবার নজরদারী কড়া করা হয় তাঁর এক স্ত্রী ও মেয়ের ওপর। পুলিস জানায়, এক সুব্রত ঘনিষ্টের মোবাইলে মাঝেমধ্যেই ক্যানাডা থেকে ফোন আসছিল। সন্দেহজনক এই ফোনের উৎস খুঁজতে ভারতের ক্যানাডা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এস টি এফ। জানা যায় এরাজ্য থেকেই ফোন যাচ্ছে ওই মোবাইলে। আসলে ক্যানাডার মোবাইল সার্ভস প্রোভাইডারকে ব্যবহার করে ওই ফোনগুলি করা হচ্ছিল। গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়ে যান, ফোন করছে সুব্রতই।
ওই দুজনের সাক্ষাতের দিনই ধরা পরেন বাংলাদেশের সন্ত্রাস সুব্রত বায়েন। সুব্রতকে জেরা করে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, উওর ২৪ পরগনার বাংলাদেশ সিমান্তবর্তী হাড়োয়ার ভবানীপুর গ্রামের নাম। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ছোটন মুন্সীর বাড়ি। ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগের জন্যই সুব্রত বায়েন আশ্রয় পায় বাড়িটিতে। ওই বাড়ির এক বাসিন্দার বয়ান অনুযায়ী, যে রাতে সুব্রত সেখানে পৌঁছায়, ঠিক তার পরদিন সকালেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, ছোটন মুন্সীর বাড়িতে সুব্রতর নিয়মিত যাতায়াতের কথা। সীমান্ত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পুলিসি নজরদারি নেই বললেই চলে। তাঁর সুযোগ নিয়েই বার বার ওইসব অঞ্চলে ঘাঁটি গারার সাহস করে সুব্রত পাইনের মতো কুখ্যাতরা।

.