কবজি কেটে নেওয়া বিতর্কে অনুব্রতর পাশেই দল, অধীরের শাস্তির প্রসঙ্গ তুলে এক যাত্রায় পৃথক ফলের অভিযোগ
কংগ্রেস কর্মীদের কবজি কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এজন্য দলের তরফে কড়া কিংবা মৃদু কোনও তিরস্কার অবশ্য তাঁকে শুনতে হল না। বরং প্রতিবারের মতো এবারও প্রকাশ্যেই বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়াল দল। নীরব প্রশাসনও।
কংগ্রেস কর্মীদের কবজি কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এজন্য দলের তরফে কড়া কিংবা মৃদু কোনও তিরস্কার অবশ্য তাঁকে শুনতে হল না। বরং প্রতিবারের মতো এবারও প্রকাশ্যেই বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়াল দল। নীরব প্রশাসনও।
গত ২৭ অক্টোবর বহরমপুরে জনসভায় দাঁড়িয়ে এই হুমকির ফল হাতেনাতে পেয়েছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে নির্বাচন কমিশন। অতি সক্রিয় হয়ে এফআইআর দায়ের করে প্রশাসনও। দশদিনের মধ্যে আবার হুঙ্কার। এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। লক্ষ্য কংগ্রেস কর্মীরা।
শোনায় কোনও ভুল নেই..। কবজি কেটে নেওয়ার কথাই বলছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। এই মন্তব্য তিনি করেন কাটোয়ায় কর্মিসভায়। দলের প্রতিক্রিয়া এল চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে। শতাব্দী রায়কে পাশে রেখেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন মুকুল রায়।
বারবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর প্রতিবার দল তাঁরই পাশে দাঁড়িয়েছে। অধীর চৌধুরীর "মাথা গুঁড়িয়ে দেওয়া" মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যদি প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়, তবে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন? প্রশ্ন উঠছে, এক যাত্রায় পৃথক ফল কীভাবে হয়?
এর আগে বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলই হুমকি দিয়েছিলেন, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হবে না। নির্দল প্রার্থীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, পুলিসকে বোমা মারার পরামর্শ। কসবা পারুইয়ে দলীয় সমাবেশে একথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল। শাসক দলের নেতা হওয়াই কি তাহলে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ছাড় পেয়ে যাওয়ার পাসপোর্ট?