ঘৃতখামে ধৃত ৫ মাওবাদী লিঙ্কম্যান সদস্য

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘৃতখাম থেকে গ্রেফতার করা হল জনসাধারণের কমিটির পাঁচ জন সদস্যকে। গ্রামবাসীরাই তাদের বেধড়ক মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেন । গ্রামবাসীদের দাবি, এরা প্রত্যেকেই মাওবাদী লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করত।

Updated By: Dec 28, 2011, 04:57 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘৃতখাম থেকে গ্রেফতার করা হল জনসাধারণের কমিটির পাঁচ জন সদস্যকে। গ্রামবাসীরাই তাদের বেধড়ক মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেন । গ্রামবাসীদের দাবি, এরা প্রত্যেকেই মাওবাদী লিঙ্কম্যান হিসাবে কাজ করত। ঘৃতখাম ও সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন নাশকতার সঙ্গে এই পাঁচ জন যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশকিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিস। দীর্ঘদিন ধরেই অশান্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামের ঘৃতখাম এলাকা। এই এলাকায় মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছেন বেশ কয়েকজন। 
গত একমাস আগেও ঘৃতখাম ও সংলগ্ন এলাকা  অবাধ যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করত মাওবাদীরা। অভিযোগ, লুঠপাট, বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের ওপর চলত শারীরিক অত্যাচার। চলত মিটিং-মিছিল-সভায় যাওয়ার হুমকিও। বুধবার সকালে সেই ঘৃতখাম এলাকাতেই জনসাধারণের কমিটির পাঁচ সদস্যকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেধড়ক মারধরের পর তাদের পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত ব্যক্তিরা সকলেই মাওবাদী লিঙ্কম্যানের কাজ করত বলে দাবি গ্রামবাসীদের । বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজেও এদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।

ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাসি চালিয়ে একটি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিস। উদ্ধার হয়েছে জনসাধারণের কমিটির পোস্টার, ওষুধপত্র, কম্পিউটার, টিভি, ফিজ ও একটি মোটরবাইক । ধৃতদের নাম রূপক মাহাত, অশোক মাহাত, খোকন মাহাত, ও ঝড়েশ্বর মাহাত। এদের সঙ্গেই ধরা পড়েছে রঘু মাহাত ওরফে গুরুচরণ, যে  মাওবাদী স্কোয়াডেরও সদস্য ছিল। তবে এখন তার সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি রঘু মাহাতর। মাওবাদী ও জনসাধারণের কমিটির লাগামহীন অত্যাচারে তিতিবিরক্ত হয়েই এই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই এলাকা থেকে আগে বেশ কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই তাঁদের। ধৃতদের জেরা করে ঘৃতখাম ও সংলগ্ন এলাকায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের হদিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

.