তিনমাসে রাজ্যে পুলিসের গুলিতে হত ৪

ফের পুলিসের গুলিতে দুজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল রাজ্যে। এর আগে আসানসোলের হটন রোড ও নদিয়ার বগুলায় বিসর্জনকে কেন্দ্র করে গোলমালের দুটি ঘটনায় পুলিসের গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার ঘটনার পরই রাজ্যে পুলিসের ডিজি নির্দেশ দিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রবার বুলেট ব্যবহার করবে পুলিস।

Updated By: Dec 2, 2011, 01:45 PM IST

ফের পুলিসের গুলিতে দুজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল রাজ্যে। এর আগে আসানসোলের হটন রোড ও নদিয়ার বগুলায় বিসর্জনকে কেন্দ্র করে গোলমালের দুটি ঘটনায় পুলিসের গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার ঘটনার পরই রাজ্যে পুলিসের ডিজি নির্দেশ দিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রবার বুলেট ব্যবহার করবে পুলিস। কিন্তু সেই নির্দেশ যে এখনও কার্যকর হয়নি, তা মগরাহাটের ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটে জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধের জেরে পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরী ও মহিলার। হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন গ্রামবাসী ও পুলিসকর্মীও। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, লজ্জাজনক। তাঁর মতে, গ্রামবাসীদের বোঝানো উচিত ছিল। পুলিসকর্মীদের উচিত ছিল আরও সতর্ক থাকা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ঘটনার তদন্ত হবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
 
কিন্তু এই প্রথম নয়। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত তিনমাসে এনিয়ে পুলিসের গুলিতে চারজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত ছয় অক্টোবর, বিজয়া দশমীর দিন উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোলে। বিসর্জনের মিছিলের জন্য হটন রোড এলাকায় স্থানীয় একটি সংগঠনের মিছিল পুলিস আটকে দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ। পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয় বাইশ বছরের মনু বর্মার।
 
এর ঠিক দুদিনের মাথায় নদিয়ার বগুলায় বিসর্জনের শোভাযাত্রায় এক কংগ্রেস নেতার গাড়ি ঢুকে পড়ায় বাধা দিয়েছিল পুলিস। তার জেরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বগুলা। পুলিসের গুলিতে নিহত হন স্থানীয় কংগ্রেস নেতার স্ত্রী রাজেশ্বরী মল্লিক। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। তারপরই রাজ্য পুলিসের ডিজি জানিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিস এবার থেকে রবার বুলেট ব্যবহার করবে।
 
কিন্তু তারপর এতদিন কেটে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর হল কই। মুখ্যমন্ত্রী যতই পুলিসকে সংযত হতে বলুন, ডিজি যতই বলুন রবার বুলেট ব্যবহার করতে, পরিস্থিতির আদতে কোনও বদল হয়নি। পুলিস যে সচেতন বা সংযত হয়নি তা ফের প্রমাণ হল মগরাহাটের রেজিনা খাতুন ও সইদা বিবির মৃত্যুতে।

.