২৪ ঘণ্টার খবরের জের, সোনারপুরের গাড়ির মালিকের খোঁজে তত্পর পুলিস
২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে সোনারপুর থানায় রাখা গাড়ির মালিকের খোঁজে পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিচ্ছে পুলিস। গত ১৯ জুলাই সোনারপুরের বাঘেরখোল এলাকায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা গড়িয়া-বোড়াল রুটের একটি অটোতে ধাক্কা মারে। অভিযোগ এরপর থেকে গাড়ির মালিকের কাছে আহতদের চিকিত্সার জন্য ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছে ওই রুটের তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের নেতারা।
২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে সোনারপুর থানায় রাখা গাড়ির মালিকের খোঁজে পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিচ্ছে পুলিস। গত ১৯ জুলাই সোনারপুরের বাঘেরখোল এলাকায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা গড়িয়া-বোড়াল রুটের একটি অটোতে ধাক্কা মারে। অভিযোগ এরপর থেকে গাড়ির মালিকের কাছে আহতদের চিকিত্সার জন্য ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছে ওই রুটের তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের নেতারা। ৫ দিন কেটে গেলেও কোনও মামলা শুরু না করে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গত ১৯ জুলাই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাঘের খোল এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা গড়িয়া-বোড়াল রুটের একটি অটোতে ধাক্কা মারেন নিসার আলি নামে এক ব্যক্তি। এরপরই দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের ভাঙড় হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। নিসার আলির দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির ঠাঁই হয় সোনারপুর থানার সামনে। থানায় যোগাযোগ করলে নিসার আলিকে বলা হয় গড়িয়া-বোড়াল রুটের তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। ইউনিয়নের তরফে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
ওই রুটের অটো ইউনিয়নের এক নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। এমনকী টাকা না পেলে পুলিসকে মামলা শুরু করবে বলে এমন হুমকিও শোনা গেছে এই নেতার গলায়। সঙ্গত কারণেই গোটা ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুর্ঘটনার পর সোনারপুর থানার সামনে নিসার আলির গাড়িটিকে রাখা হলেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটোটি আটক করেনি পুলিস। দ্বিতীয়ত পুলিস সরাসরি অটো ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিসার আলি। এমনকী ৫ দিনেরও বেশি পেরিয়ে গেলেও পুলিস কেন কোনও মামলা দায়ের করল না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
একদিকে পুলিসের অসহযোগিতা অন্যদিকে অটো ইউনিয়নের নেতাদের হুমকি। এই দুয়ের জাঁতাকলে পড়ে অসহায় নিসার আলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার এসপি প্রবীণ ত্রিপাঠির কাছে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাতে কোনও সাড়া মেলেনি। শহরতলীতে অটো ইউনিয়নের নেতাদের এই দাপট নিয়ে কী ভাবছে প্রশাসন? নিত্যযাত্রীদের প্রয়োজনীয় এই যাননিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও সরকার কতটা উদ্যোগী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।