জিল্লুর রহমনের শেষকৃত্য সম্পন্ন
বাংলাদেশের ১৯তম প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। প্রেসিডেন্টের প্রয়াণে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। তারজন্য নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।
বাংলাদেশের ১৯তম প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। প্রেসিডেন্টের প্রয়াণে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। তারজন্য নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন।
শুক্রবার ঢাকার বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হল বাংলাদেশের উনিশতম রাষ্ট্রপতি মোহম্মদ জিল্লুর রহমানকে। বুধবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর থেকে তাঁর মরদেহ দেশে আনার পর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জে আয়োজিত হয় প্রথম শোকমিছিল। পরে তাঁর বাসভবন হয়ে বনানী কবরস্থানে পৌঁছোয় আরও একটি শোকমিছিল। শুক্রবার দুপুরে সেখানেই সামরিক মর্যাদায় সমাধিস্থ করে হয় জিল্লুর রহমানের মরদেহ। দায়িত্ব নেওয়ার চার বছরের মাথায় তাঁর জীবনাবসানে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।
জিল্লুর রহমানের শেষকৃত্যে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। অন্যন্য দেশের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন অনুষ্ঠানের। বাংলাদেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে উনিশে জুনের মধ্যে। সংবিধান অনুযায়ী ততদিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন স্পিকার আবদুল হামিদ।
প্রেসিডেন্টের প্রয়াণে বুধবারই তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। শুক্রবার, এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন। একসময় পেশার তাগিদে দীর্ঘদিন বাংলাদেশে কাটানো এ রাজ্যের সাংবাদিকরা জিল্লুর রহমানের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন এই স্মরণসভায়। পাশাপাশি দূতাবাসে রাখা একটি খাতাতেও এদিন দিনভর শোকবার্তা লিপিবদ্ধ করেছেন রাজ্যের একাধিক প্রশাসনিক প্রধান।
শুক্রবারের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, সাংবাদিক সনত মুখোপাধ্যায়, অসিত কুমার দাস, ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের মুখ্যসচিব আবদুল করিম এবং ডেপুটি হাই কমিশনার আবিদা ইসলাম।