World Suicide Prevention Day 2022: বিশ্বে প্রতি বছর ৭ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করেন! কেন এত আত্মহত্যা?

সাম্প্রতিক অতীতে কোভিড মানুষকে অবসাদগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে বড় রকম ভূমিকা পালন করেছে। কোভিডের ফলে প্রিয়জনের মৃত্যু মানুষকে সরাসরি অবসাদে ঠেলে দিয়েছে। কোভিডে যেভাবে সমাজ-অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে তাতেও বহু মানুষ আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন।

Updated By: Sep 10, 2022, 04:39 PM IST
World Suicide Prevention Day 2022: বিশ্বে প্রতি বছর ৭ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করেন! কেন এত আত্মহত্যা?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্য আমাদের স্তম্ভিত করে। তারা জানাচ্ছে, বিশ্বে প্রতি বছর ৭ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যার কারণে মারা যান। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে এটা একটা বড় কারণ। খুবই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সন্দেহ নেই। কিন্তু সমাজের সমস্ত স্তরই এটার কারণ খুঁজতে আগ্রহী। এবং বিষয়টি নিয়ে চর্চা করে তারা বেশ কিছু কারণের হদিশ দিয়েছেন: যেমন, মেন্টাল ডিজঅর্ডার, পার্সোনালিটি ক্য়ারাকটেরিসটিকস, প্রিভিয়াস সুইসাইড অ্য়াটেম্পটস ইত্যাদি। এ সংক্রান্ত গবেষণা বলছে, অবসাদ ও আত্মহত্যাকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বলে মনে করা হয়। মস্তিষ্কে সেরোটোনিন লেভেল কমানোর জন্য দায়ী এদের সম্পর্ক। সেরোটোনিন রিসেপটর মস্তিষ্ককে ক্রিয়াশীল থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু যাঁদের মধ্যে বিপুল পরিমাণে মানসিক হতাশা কাজ করে, যাঁরা দুর্বল হন, যাঁদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে, তাঁদের মধ্যে এই রিসেপটর ততটা সক্রিয় থাকে না বলেই এরকম ঘটে। 

তবে সাম্প্রতিক অতীতে কোভিড মানুষকে অবসাদগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে বড় রকম ভূমিকা পালন করেছে। কোভিডের ফলে প্রিয়জনের মৃত্যু মানুষকে সরাসরি অবসাদে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু সেটা ছাড়াও কোভিডের জেরে যেভাবে সমাজ-অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে তাতে বহু মানুষ আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। সব থেকে বড় কথা সমাজ ও বন্ধুপরিজন থেকে সামাজিক শারীরিক দূরত্ব পালন করাটা অনেকেরই মনের উপর চাপ ফেলেছে। এর ফলে অনেকেই কখনও কখনও আত্মহত্যার কথা ভেবেছেন। ফলে, কোভিডও আত্মহত্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।

আরও পড়ুন: North Korea Nuclear Weapons: পরমাণু অস্ত্রের নতুন আইন উত্তর কোরিয়ায়, ভয়ংকর কী করতে পারেন কিম জন-উন...

কিন্তু কোথায় এই অন্ধগলির শেষ? এই ক্রমশ অবসাদের অন্ধকারে ডুবে থাকা এবং আত্মহত্যাকামী মানুষগুলির সামনে কি তবে কোনও আলোর উৎস নেই?

আছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এ ক্ষেত্রে কতগুলি উপায় বাতলেছে। যেমন: 

কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি-- এটা রোগীকে স্ট্রেসফুল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। থট-প্যাটার্নটাকে ধরতে সাহায্য় করে।

ডায়ালেকটিকাল বিহেভিয়ারাল থেরাপি-- রোগীর আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বাতলে দেয় এটি।

ব্রিফ ইন্টারভেনশন স্ট্র্যাটেজিস-- কথা বলে রোগীর মনকে অর্গলমুক্ত করে দেওয়ার পদ্ধতি। 

কোলাবোরেটিভ কেয়ার-- এটি সামগ্রিক মেন্টাল হেলথ কেয়ার। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা 'হু' একটা ইউনিভার্সাল সুইসাইড প্রিভেনশন স্ট্র্যাটেজিসের পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে-- 'লিভ লাইফ অ্যাপ্রোচ'।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.