Heart Transplant: মিউজিয়াম ঘুরতে গিয়ে ১৬ বছর পরে নিজের হৃৎপিণ্ড দেখলেন মহিলা...
জেনিফারের যখন মাত্র ১৩ বছর বয়স তখন একই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর মায়ের মর্মান্তিক পরিণতি জেনিফারের অস্ত্রোপচার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে। যদিও সব আশঙ্কা দূর করে জেনিফারের অপারেশন সফল হয়। বর্তমানে ১৬ বছর পরে, তিনি নিজের সংরক্ষণ করে রাখা হৃৎপিণ্ডের সামনে দাঁড়িয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জেনিফার সাটন, একজন ট্রান্সপ্লান্ট রোগী। তিনি এক বিরল ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন সম্প্রতি। জাদুঘরে রাখা নিজের হৃৎপিণ্ড দেখার বিরল নজির স্থাপন করেছেন জেনিফার। অপারেশনের ১৬ বছর পরে এই ঘটনা ঘটেছে। তার হৃৎপিণ্ড বর্তমানে লন্ডনের মর্যাদাপূর্ণ হান্টেরিয়ান মিউজিয়ামে প্রদর্শিত রয়েছে।
এই ঘটনায় অভিভূত, জেনিফার এটিকে অকল্পনীয় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি আশা করেন যে এই ঘটনা অন্যদের জীবন রক্ষাকারী প্রতিস্থাপনের জন্য নিজের অঙ্গ দান করতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২২ বছর বয়সে, যখন তিনি নিজের শারীরিক সীমাবদ্ধতা বুঝতে পেরেছিলেন।
ট্রান্সপ্লান্ট করার সিদ্ধান্ত
জেনিফার সাটন হ্যাম্পশায়ারের রিংউডের বাসিন্দা। তিনি রেস্ট্রিক্টিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জানতে পারেন যে তাঁর বেছে থাকা একমাত্র পথ হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন। উপযুক্ত দাতার অপেক্ষায় থাকাকালীন তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এরপরে, ২০০৭ সালের জুন মাসে তাঁর জীবন বদলে দেওয়া খবর পান। জানা যায় যে একটি মিল পাওয়া গিয়েছে প্রতিস্থাপনের জন্য।
আরও পড়ুন:
জেনিফারের যখন মাত্র ১৩ বছর বয়স তখন একই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর মায়ের মর্মান্তিক পরিণতি জেনিফারের অস্ত্রোপচার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে। যদিও সব আশঙ্কা দূর করে জেনিফারের অপারেশন সফল হয়। বর্তমানে ১৬ বছর পরে, তিনি নিজের সংরক্ষণ করে রাখা হৃৎপিণ্ডের সামনে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিকূলতার উপর তার বিজয়ের একটি স্থায়ী প্রতীক এই সংরক্ষন।
একটি হৃৎপিণ্ড প্রদর্শন
৩৮ বছর বয়সী সাটন বিবিসিকে জানিয়েছেন যে লন্ডনের হান্টেরিয়ান মিউজিয়ামে তার নিজের অঙ্গ প্রদর্শনী হিসাবে রাখা 'অকল্পনিয়' ছিল।
তিনি বলেন, ‘আপনি যে মুহুর্তে প্রথম ভিতরে যাবেন, আপনার মনে হবে এটা আমার শরীরের ভিতরে ছিল’।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এটাও বেশ সুন্দর-এটা আমার বন্ধুর মতো। এটা আমাকে ২২ বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছিল এবং আমি সত্যিই এটা নিয়ে বেশ গর্বিত। আমি আমার জীবদ্দশায় বোতলের মধ্যে অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু সেটা আসলে আমার এটা ভাবাটা আমার কাছে খুবই অদ্ভুত’।
সাটন বলেছিলেন যে তিনি অঙ্গ দানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে চান। তিনি আরও যোগ করেছেন যে অঙ্গদান তার জীবনে বিবাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত তৈরি করেছে।