ফেসবুকের জন্য 'যুদ্ধ লাগল' এই দেশে! আবার ক্ষমাও চাইল ফেসবুক!
উল্টে দেখুন পাল্টে গেছে! এই কথাটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ফেসবুক। পস্তাচ্ছেও বিস্তর। কিন্তু হয়েছেটা কী?
ওয়েব ডেস্ক: উল্টে দেখুন পাল্টে গেছে! এই কথাটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ফেসবুক। পস্তাচ্ছেও বিস্তর। কিন্তু হয়েছেটা কী?
গত রবিবার ১২ই জুন ছিল ফিলিপিনসের স্বাধীনতা দিবস। আর সেই দিন ওই দেশের ৫১ মিলিয়ান ফেসবুক ব্যবহারকারীকে স্বাধীনতাদিবসের শুভেচ্ছে জানিয়েছিল ফেসবুক। যেরকম সাধারণত ফেসবুক করে থাকে কোনও বিশেষ দিনে। কিন্তু গোল বাঁধল সেখানেই।
ফেসবুক ফিলিপিনসের জাতীয় পতাকার যে ছবিটি "Happy Independence Day" বার্তার সঙ্গে ব্যবহার করেছিল তাতে নীল রঙের বদলে লাল রঙ উপরে রয়েছে যা আসলে ঠিক উল্টো। ফিলিপিনসের জাতীয় পতাকায় আগে নীল রঙ আর তার নিচে থাকে লাল। কিন্তু ফেসবুক দেওয়া পতাকায় রয়েছে ঠিক এর উল্টোটা।
ফিলিপিনসের 'আসল' জাতীয় পতাকা
আর এই নিয়েই সেদেশের নেটিজেনরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শুরু করেছে ব্যপক ঠাট্টা তামাশা। তবে, ফেসবুক বিষটা বুঝতে পেরই সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে তাদের এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য।
কিন্তু 'উল্টোপাল্টা' কাণ্ডে বিতর্কটা অন্য মাত্রা পেয়েছে কারণ, ফিলিপিনসের নিয়ম অনুযায়ী, তাদের জাতীয় পতাকার রঙের ক্রম পাল্টে গেলে (অর্থাৎ, লাল উপরে, নীল নিচে হলে) তার মানে বোঝায় যে 'দেশে যুদ্ধ চলছে'। আর এই 'ভুল'টাকে ব্যবহার করে ফিলিপিনসের ঘরোয়া রাজনীতির কারবারিরা একে অপরকে 'খোঁচা' মারতে শুরু করেছেন।
জানা যাচ্ছে, ফিলিপিনসের জাতীয় পতাকার রঙের সঠিক ক্রম নিয়ে বিভ্রাট এই প্রথম নয়। এর আগে খোদ আমারিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এই ভুলটাই করেছিল ২০১০ সালে নিউ ইয়র্কে বারাক ওবামার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র প্রধানদের একটি বৈঠকে। এছাড়াও আরও কয়েকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে, গোটা বিষয়টিতে ফেসবুক নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় আপাতত ফিলিপিনসে 'যুদ্ধ থেমেছ'।