১৮-তেই তেলের বাজারে আরবকে হারিয়ে 'সাবালক' হবে ট্রাম্পের দেশ, বলছে সমীক্ষা
ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন বাইরে থেকে আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে না। নিজেদের চাহিদা নিজেরাই মেটাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই পথেই হাঁটছে ট্রাম্প প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৮-তে অপরিশোধিত তেলের বাজারে 'ডন' হতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। এমনকী, রাশিয়া এবং সৌদি আরবের মতো সর্বোচ্চ তেল উত্তোলন দেশগুলিকেও টেক্কা দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করছে রিস্তাদ এনার্জি নামে খনিজ তেল এবং গ্যাস বিষয়ক একটি গবেষণা সংস্থা। ওই সংস্থার রিপোর্ট বলছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনে এক কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটি নজিরবিহীন পরিসংখ্যান বলে মনে করছেন মার্কিন অর্থনীতিবিদরা। এবং পুরো কৃতিত্ব ট্রাম্প প্রশাসনকেই দিচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- ভারতের মানচিত্র থেকে কাশ্মীর-অরুণাচলকে মুছে দিল চিন!
ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন বাইরে থেকে আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে না। নিজেদের চাহিদা নিজেরাই মেটাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই পথেই হাঁটছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ২০১৮ পর্যন্ত ১০ শতাংশ অর্থাত্ দিনে ১.১০ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন করে থাকলে রাশিয়া, সৌদ আরবকেও ছাপিয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই আমদানি কমিয়ে বেশি পরিমাণে তেল রপ্তানি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-র তুলনায় তিন গুন বেশি তেল রপ্তানি করেছে ট্রাম্প সরকার। ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পরই ত্বরান্বিত হয়েছে তেল রপ্তানি, মেনে নিচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ২০০৭-তে দিনে ১.২৫ কোটি ব্যারেল পেট্রোলিয়ামজাত আমদানি থেকে এক ধাপে ২১ লক্ষ ব্যারেলে এনেছে মার্কিন সরকার।
আরও পড়ুন- ভারতের হাতেই নিগৃহীত হয়েছে আমার পরিবার, পাক ভিডিওয় দাবি কুলভূষণের
অন্যদিকে রাশিয়া এবং সৌদি আরবে তেল উত্তোলনের হার কমেছে।