সিরিয়া মার্কিনি হস্তক্ষেপে নারাজ রাষ্ট্রসঙ্ঘ
মার্কিন নেতৃত্বে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তাবে সায় মিলল না রাষ্ট্রসংঘের। নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটেনের তরফে আনা প্রস্তাবের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াল রাশিয়ার আপত্তি। যদিও প্রয়োজনে নিরাপত্তা পরিষদের সম্মতি ছাড়াই সিরিয়া সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন নেতৃত্বে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তাবে সায় মিলল না রাষ্ট্রসংঘের। নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটেনের তরফে আনা প্রস্তাবের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াল রাশিয়ার আপত্তি। যদিও প্রয়োজনে নিরাপত্তা পরিষদের সম্মতি ছাড়াই সিরিয়া সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি আগেই শুরু করে দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া প্রশাসন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে সুর চড়িয়েছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। সিরিয়া প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাশে পেয়েছে ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চেয়ে প্রস্তাব দেয় সেই ব্রিটেনই। প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন রাশিয়ার প্রতিনিধি। বিরোধিতা আসে চিনের তরফেও। শেষ পর্যন্ত একঘন্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক চললেও সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সিরিয়া সামরিক অভিযানের প্রশ্নে রাশিয়া ফের বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় ক্ষোভ চেপে রাখেনি ওয়াশিংটন। রাশিয়ার লাগাতার বাধা এবং কূটনৈতিক জটিলতার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাতগুটিয়ে বসে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।
শুরু থেকেই উন্নত দেশগুলির লাগাতার হুঁশিয়ারির মাঝেই সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সারগেই লাভরভ। বুধবারও নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও সিরিয়া প্রশ্নে আগের অবস্থানেই অনড় থেকেছে রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোনও রকম হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন রাশিয়ার প্রতিনিধি।