রুশ বিরোধিতায় দ্বিধাবিভক্ত ইউক্রেন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন না রাশিয়া, কোন পথে ইউক্রেনের ভবিষ্যত? বিদ্রোহের শুরুটা হয়েছিল সেই রাশিয়ার বিরোধিতা দিয়েই। এবারে সেই রাশিয়া প্রশ্নেই যেন দ্বিধাবিভক্ত গোটা দেশ। রুশবিরোধী বিদ্রোহ শেষে এবারে পথে নেমেছেন ক্রেমলিনের সমর্থক ইউক্রেনিয়ানরাও।

Updated By: Feb 24, 2014, 09:56 PM IST

ইউরোপীয় ইউনিয়ন না রাশিয়া, কোন পথে ইউক্রেনের ভবিষ্যত? বিদ্রোহের শুরুটা হয়েছিল সেই রাশিয়ার বিরোধিতা দিয়েই। এবারে সেই রাশিয়া প্রশ্নেই যেন দ্বিধাবিভক্ত গোটা দেশ। রুশবিরোধী বিদ্রোহ শেষে এবারে পথে নেমেছেন ক্রেমলিনের সমর্থক ইউক্রেনিয়ানরাও।

রুশ প্রতীক হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন লেনিনের মূর্তিকেই। মূর্তি বাঁচাতে পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভে শুরু হয়েছে রাত পাহাড়া।সরকার বিরোধী ঢেউয়ে অগ্নিগর্ভ ইউক্রেন। পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তে গদিচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ইতিমধ্যেই তাঁর প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়েছেন। সরকারের দাবি, ইয়ানুকোভিচ গেছেন দেশের পূর্বাঞ্চলে খারকিভ শহরে।

যদিও অন্য সূত্রের খবর, বিমানে দেশ ছাড়তে গিয়ে বাধা পান তিনি। পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কো। তাঁর পক্ষে থাকার কথা বুঝিয়ে দিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। টাইমোশেঙ্কোও বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের কুর্সিই এখন তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেও আছে দুর্নীতির অভিযোগ। পঁচিশে মে ইউক্রেনে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে পার্লামেন্ট। অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওলেকজান্দ টারচায়নভকে। দায়িত্ব নিয়েই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন টারচায়নভ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ছেড়ে রাশিয়ার কাছাকাছি যাওয়ার নীতি নিয়েই বিদ্রোহীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ইয়ানুকোভিচ। তাঁকে সরানোর পরেও সেই বিতর্কে দাঁড়ি পরেনি। রাশিয়া মুখ না খুললেও ইউক্রেন নিয়ে সতর্ক আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন। ইউক্রেনে সেনা না পাঠাতে রাশিয়াকে সতর্কও করেছে তারা। কিন্তু ইতিমধ্যেই ভিন্ন আওয়াজ উঠছে ইউক্রেনের অন্দরেই। ভবিষ্যত নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত কৃষি-শিল্পে এগিয়ে থাকা ইউক্রেন। আন্দোলন চলার সময় রুশ বিরোধিতায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা হয়েছে লেনিনের মূর্তি। পালাবদলের পরে সেই লেনিন মূর্তিকেই প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করছেন রুশপন্থীরা। পূর্ব ইউক্রেন বরাবরই রাশিয়া ঘেঁষা ইয়ানুকোভিচের দলের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখানকার শহর খারকিভে লেনিন মূর্তি বাঁচাতে রাতপাহারা শুরু করেছেন বিদ্রোহে সামিল হওয়া বহু মানুষই। খারকিভে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নপন্থী আর রুশপন্থীদের মারপিটও বেধেছে। শহরের মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি ভবনগুলিতে বিদ্রোহীদের নো এন্ট্রি। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, ইউক্রেনের ভিতরে-বাইরে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নপন্থীদের সাধ সহজে পূরণ হওয়ার নয়।

.