UK PM Rishi Sunak: ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত, কে এই ঋষি সুনক?
ক্যারিবিয় দ্বীপুঞ্জের ছুটি বাতিল করে দেশে ফিরেছিলেন বরিস জনসন। ঘোষণাও করে দেন দলের নেতা নির্বাচন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে তিনি নেই।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় দু'শতক ভারত শাসন করেছে ব্রিটিশরা। এবারে সেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। দেশের প্রধানমন্ত্রীর তখ্তে এই প্রথম কোনও অ-শ্বেতকায়ও। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ঋষি সুনক। তাঁর আরও একটি পরিচয় হল তিনি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই। একসময়ে দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন সুনক। তাই দেশের আর্থিক মন্দার সঙ্গে লড়তে সম্ভবত সুনককেই এগিয়ে দিল কনজারভেটিভ পার্টি। জেনে নিন সুনক সম্পর্কে।
ভারতীয় যোগ
ব্রিটেনের সার্দাম্পটনে এক ভারতীয় পরিবারে জন্ম সুনকের।
বাবা ব্রিটেনের ন্য়াশানাস সার্ভিসের কর্মী ও মা ফার্মাসিস্ট
সুনকের দাদু ছিলেন পঞ্জাবের বাসিন্দা।
পড়াশোনা
অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড থেকে স্নাতক।
বিয়ে
সুনকের স্ত্রী ইনফোসিস সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তি। ২০০৯ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। রয়েছে ২ মেয়ে।
রাজনৈতিক জীবন
২০১৫ সালে রিচমন্ড থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।
২০২০ সালে তাঁকে ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার পদে বসানো হয়।
করোনা কালে তাঁর আর্থিক প্যাকেজ দেশের মানুষের মন জয় করে নেন।
মাস দেড়েক আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য লড়াই করেছিলেন লিজ ট্রাসের সঙ্গে।
মেটা ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ডের মালিক ঋষি।
কেন ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল? প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ১০০ সংসদের সমর্থন। সেই জায়গায় সুনকের পাশে রয়েছেন ১৯৩ জন কনজারভিটভ সাংসদ। দেড় মাস আগেই লিস ট্রাসের কাছে গোল খেয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ নাগালের কাছে এসেও হাতছাড়া হয়েছিল। কিন্তু চাপ নিতে না পেয়ে ট্রাস গদি ছাড়তেই ফের একবার ভাগ্য পরীক্ষায় নেমে পড়েছিলেন সুনক।
ঋষির কাছে এখন প্রধান চ্য়ালেঞ্জ দেশের অর্থনীতিকে লাইনে আনা। কারণ ওই কারণেই চলে যেতে হয়েছে ট্রাসকে। পদত্যাগ করে ট্রাস বলেওছেন, কিছুর করতে পারিনি। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ছিলেন সুনক। বর্তমানে দেশের আর্থিক যে পরিস্থিতি তাকে কনজারভেটিভ পার্টি তাকেই যোগ্য লোক বলে মনে করছে। ভোটের আগে সেকথা বলেওছেন সুনক। কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধান যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি হবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কাজে দলের পাশে থাকতে ক্যারিবিয় দ্বীপুঞ্জের ছুটি বাতিল করে দেশে ফিরেছিলেন বরিস জনসন। ঘোষণাও করে দেন দলের নেতা নির্বাচন কিংবা প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে তিনি নেই। বরিস জনসনের অভিমত, আপাতত প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে থাকা ঠিক হবে না। তবে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন যে, পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা যদি ঐক্যবদ্ধ না-হন তবে, দক্ষতা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে কোনও সরকার পরিচালনা করাই সম্ভব নয়।