চাঁদের বুকে নাসার উপগ্রহ
অভিযান শেষে চাঁদের ওপর আছড়ে পড়ল নাসার জোড়া উপগ্রহ। উপগ্রহ দুটি `ইবিবি` এবং `ফ্লো` নামে পরিচিত। উপগ্রহ দুটি আছড়ে পড়লে চাঁদের ভুস্তরে ক্ষতির আশঙ্কার কারণে এই গোটা বিষয়টিই নিয়ন্ত্রণ করেছে নাসা। তিরিশ সেকেন্ডের ব্যবধানে `ইবিবি` এবং `ফ্লো` চাঁদের উত্তর মেরুতে একটি পাহাড়ের ওপর আছড়ে পরে। অভিযান শেষের আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠিয়েছে ওই জোড়া উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের আশা এর থেকে চাঁদের উত্পত্তি সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য জানা যাবে।
অভিযান শেষে চাঁদের ওপর আছড়ে পড়ল নাসার জোড়া উপগ্রহ। উপগ্রহ দুটি `ইবিবি` এবং `ফ্লো` নামে পরিচিত। উপগ্রহ দুটি আছড়ে পড়লে চাঁদের ভুস্তরে ক্ষতির আশঙ্কার কারণে এই গোটা বিষয়টিই নিয়ন্ত্রণ করেছে নাসা। তিরিশ সেকেন্ডের ব্যবধানে `ইবিবি` এবং `ফ্লো` চাঁদের উত্তর মেরুতে একটি পাহাড়ের ওপর আছড়ে পরে। অভিযান শেষের আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠিয়েছে ওই জোড়া উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের আশা এর থেকে চাঁদের উত্পত্তি সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য জানা যাবে।
আয়তনে ওয়াশিং মেশিনের সমান। বিজ্ঞানীমহলে নাম গ্র্যাভিটি রিকোভারি এন্ড ইন্টেরিয়র ল্যাবোরেটরি বা গ্রেইল। নাসার বিজ্ঞানীরা অবশ্য রোবট পরিচালিত জোড়া উপগ্রহের নাম রেখেছিলেন `ইবিবি` আর `ফ্লো`। দুহাজার দশ সালের সেপ্টেম্বরে এই জোড়া উপগ্রহ চাঁদে পাঠিয়েছিল নাসা। উদ্দেশ্য, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের খতিয়ান তৈরি করা। প্রায় দুবছরেরও বেশি সময় ধরে সেই কাজটাই করেছে `ফ্লো` আর `ইবিবি`। এই জোড়া উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য মহাকাশ বিজ্ঞানের বহু প্রচলিত ধারনাই বদলে দিতে পারে।
অভিযান শেষে জোড়া উপগ্রহের জ্বালানি ফুরিয়ে এসেছিল। ফলে তাদের আর কক্ষপথে রাখা সম্ভব ছিল না। উপগ্রহ দুটি চাঁদের ওপর আছড়ে পড়তই। কিন্তু উপগ্রহ দুটি আচমকা পতনে চাঁদের ভুস্তরের ক্ষতি হতে পারে। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেছে নাসা। তিরিশ সেকেন্ডের ব্যবধানে চাঁদের উত্তর মেরুর কাছে একটি পাহারের ওপর আছড়ে পরে `ইবিবি` আর `ফ্লো`। নাসার এই জোড়া উপগ্রহের পাঠানো তথ্য খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে চাঁদের ভুস্তরের গঠন সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীদের আশাচাঁদের পাশাপাশি পৃথিবী এবং সৌর জগতের অন্যান্য গ্রহ সম্পর্কেও বহু তথ্য মিলবে `ইবিবি` আর `ফ্লো` গবেষণার ফলে।