ওবামা ফিরতেই বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর শেষ হতে না হতেই পর পর তিনটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। শহরের পূর্বে জালালাবাদ রোডে একটি শপিং মলের সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণগুলি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন দূতাবাসের তরফে তাদের কর্মীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়। তালিবান জঙ্গিরা এই হামলার দায়স্বীকার করেছে।

Updated By: May 2, 2012, 10:47 AM IST

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর শেষ হতে না হতেই পর পর তিনটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। শহরের পূর্বে জালালাবাদ রোডে একটি শপিং মলের সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণগুলি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন দূতাবাসের তরফে তাদের কর্মীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়। ওই এলাকায় একাধিক বিদেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত একজন রক্ষী ও এখজন সাধারণ পথচারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ১৭ জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তালিবান জঙ্গিরা এই হামলার দায়স্বীকার করেছে।

এর আগেই, মঙ্গলবার আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগাম খবর ছাড়াই মঙ্গলবার আফগানিস্তানে হাজির হন বারাক হুসেইন ওবামা। তারই ফাঁকে দেখা করেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন সেনাদের সঙ্গেও। সেই সাক্ষাতেই আফগান যুদ্ধের ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন ওবামা। তবে নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই তাঁর এই ঘোষণা বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে আফগানিস্তানকে নয়, প্রকৃতপক্ষে মার্কিনিদের উদ্দেশ্যেই আফগান যুদ্ধে ইতি টানার বার্তা দিলেন ওবামা। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা যে কোনওভাবেই বিঘ্নিত হবে না সে আশ্বাসও দেন তিনি। তালিবান জঙ্গিরা হিংসার পথ থেকে সরে আসলে শান্তি আলোচনার পথ খুলতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, ২০১৪-র পর ঘোষিত নীতি অনুযায়ী মার্কিন সেনা সরে আসার পর আফগান সেনা যাতে সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে পারে, সেবিষয়ে কারজাই প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন ওবামা।
ঘটনাচক্রে আজই পূর্ণ হল ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর এক বছর। গত বছর পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে এই দিনেই মার্কিন সামরিক হানায় লাদেনের মৃত্যুর আকস্মিকতায় চমকে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ওসামার মৃত্যুর দিনটিকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেছে নিয়েছিলেন আফগান যুদ্ধে ইতি টানার ডাক দেওয়ার জন্য। এর বছর আগে ওসামার পর মৃত্যুর সঙ্গেই তৈরি হয়েছিল তালিবানদের প্রতিশোধ নেওয়ার আশঙ্কা। লাদেনহীন আল কায়েদা আগের থেকে কিছুটা দুর্বল হলেও, প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা থেকেই গেছিল। সেই আশঙ্কার মধ্যেই আজ কাবুলে ঘটে গেল আত্মঘাতী বিস্ফোরণ।

.