এবারের শীতে করোনার তিনটি ঢেউ দেখা দিতে পারে! দেশ জুড়ে ফের আতঙ্কের আবহ...
Covid Spike in China: করোনার টিকাকরণ, করোনাজনিত লকডাউন এবং করোনার সংক্রমণ নিয়ে বিতর্ক লেগেই আছে সেদেশে। সম্প্রতি এই নতুন আশঙ্কার কথাও শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে সন্ত্রস্ত সংশ্লিষ্ট সব মহল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের করোনার আতঙ্ক। এবার চিনে। চিন থেকে করোনার ছায়া যেন কোনও ভাবেই যাচ্ছে না। করোনার টিকাকরণ, করোনাজনিত লকডাউন এবং করোনার সংক্রমণ ইত্যাদি নিয়ে বিতর্ক লেগেই আছে সেদেশে। সম্প্রতি এই নতুন বিপদের আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছে। চিনের শীর্ষস্থানীয় এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এই বলে আভাস দিয়েছেন যে, তাঁদের দেশে এবারের শীতে তিনটি করোনা-ঢেউ দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রথম ঢেউটি চলছে। আরও দুটি ঢেউ আসবে অচিরেই। অতএব সাবধান!
আরও পড়ুন: New Zealand: এবার চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে ধূমপান, নতুন বছরে দোকানে আর মিলবেই না সিগারেট...
চলতি মাসে বারবার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছে চিন সরকার। এর জেরে করোনাজনিত কঠোর বিধিনিষেধগুলির বেশির ভাগই প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় চিন। এর পর থেকে দেশটিতে আবারও করোনা আক্রান্তের হার বাড়তে থেকেছে বলেই খবর।
চিনের রোগতত্ত্ববিশেষজ্ঞ উ জুনইউ বলেছেন, সংক্রমণের হার বাড়ার বর্তমান এই প্রবণতা মধ্য-জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। এরপর ২১ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী চিনা নববর্ষ উদযাপন। সেই উদযাপনকে কেন্দ্র করে আরেকটি নতুন ঢেউ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাধারণত এই সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের পরিবারের সঙ্গে ছুটি উদযাপন করেন। উ জুনইউ বলছেন, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মধ্য-মার্চ পর্যন্ত করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Amazing Lost World: ২০ লক্ষ বছরের পুরনো ডিএনএ বিশ্লেষণ করে যা জানা গেল তাতে তাজ্জব সারা পৃথিবী...
কয়েকদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে উ জুনইউ বলেছেন, বর্তমান টিকা দেওয়ার যে হার চলছে তা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে একটা সুরক্ষা তৈরি করেছে। এতে গুরুতর আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। চিন বলছে, এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠীকে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ দিতে পেরেছে তারা। অবশ্য ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে টিকার ৩টি ডোজ নেওয়া মানুষের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম।
জানা গিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর থেকে চিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে করোনায় নতুন কোনো মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেনি। দুদিন আগে প্রকাশিত সরকারি এক হিসাব অনুযায়ী, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের কয়েক দিনের তুলনায় কমছে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনা পরীক্ষার হার কমে যাওয়ায় প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যাটা প্রকাশিত হচ্ছে না।