নিলামে উঠছে টাইটানিকের শেষ লাঞ্চের মেনু কার্ড
সেই অভিশপ্ত দিন, যেদিন হিমশৈলের গায়ে ধাক্কা খেয়ে সমুদ্রের অতল গহ্বরে চিরতরে ডুবে গিয়েছিল বিলাশবহুল জাহাজ টাইটানিক, সেই দিন প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের দুপুরের খাবারে প্লেটে ঠিক কী কী পড়েছিল? 'দ্য লাস্ট লাঞ্চ'-এর সেই খাবারের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হল। সৌজন্যে টাইটানিকেরই এক যাত্রী। তিনি সেদিন কোনওরকমে রক্ষা পেয়েছিলেন। আরও অনেক সহযাত্রীদের মত সমুদ্রের বরফ শীতল জলে তাঁর মৃত্যুর ঠিকানা লেখা ছিল না হয়ত। অজানা কারণে তাঁর ভাগ্যে জুটেছিল 'মানি বোট' নামের লাইফবোটে চড়ার সুযোগ। নিজের অজান্তেই তাঁর পকেটে রয়ে গিয়েছিল সেদিনকার লাঞ্চের মেনু কার্ড।
ওয়েব ডেস্ক: সেই অভিশপ্ত দিন, যেদিন হিমশৈলের গায়ে ধাক্কা খেয়ে সমুদ্রের অতল গহ্বরে চিরতরে ডুবে গিয়েছিল বিলাশবহুল জাহাজ টাইটানিক, সেই দিন প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের দুপুরের খাবারে প্লেটে ঠিক কী কী পড়েছিল? 'দ্য লাস্ট লাঞ্চ'-এর সেই খাবারের তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হল। সৌজন্যে টাইটানিকেরই এক যাত্রী। তিনি সেদিন কোনওরকমে রক্ষা পেয়েছিলেন। আরও অনেক সহযাত্রীদের মত সমুদ্রের বরফ শীতল জলে তাঁর মৃত্যুর ঠিকানা লেখা ছিল না হয়ত। অজানা কারণে তাঁর ভাগ্যে জুটেছিল 'মানি বোট' নামের লাইফবোটে চড়ার সুযোগ। নিজের অজান্তেই তাঁর পকেটে রয়ে গিয়েছিল সেদিনকার লাঞ্চের মেনু কার্ড।
টাইটানিকের শেষ লাঞ্চ মেনু কার্ডকে নিলামে চড়ানো হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে ৫০,০০০ থেকে ৭০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত দাম পাওয়া যাবে।
নিউইয়র্কের অনলাইন নিলামকারী লায়ন হার্ট অটোগ্রাফস এই মেনুকার্ডের সঙ্গেই লাইফবোট ওয়ান থেকে প্রাপ্ত আরও দুটি অজানা হাতে তৈরি বস্তু নিলামে চড়াচ্ছে।
টাইটানিকের লাইফ বোয়াট ওয়ানটি 'মানি বোট' নামেই খ্যাত। কোনও এক প্রথমশ্রেণীর যাত্রী ক্রু মেম্বারদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে কিনে নিয়েছিল এই বোটটি। যে বোটে ৪০জন যাত্রীর অনায়াসে ঠাঁই হতে পারত, মাত্র ১২জন যাত্রীকে নিয়ে সেই বোটেই তড়িঘড়ি চম্পট দিয়ে ছিলেন তিনি। হয়ত এই একটি বোটই টাইটানিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা এক লাফে ২৮ বাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও এই ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত যথাযথ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।