চিলেকোঠায় ঝুলছে মৃত বাঘ, নীচে কৌতূহলী জনতা
জাকার্তার ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনজার্ভেশন এজেন্সির আধিকারিক হটমুলি সিয়ানতুরি জানিয়েছেন, কুঃসংস্কার থেকেই এই বাঘকে হত্যা করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: চিলে কোঠায় ঝুলছে প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঘ। দড়ি দিয়ে বেঁধে শুইয়ে রাখা হয়েছে দেহটি। নীচে কৌতূহলী জনতা। উত্তর ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত এক গ্রামে এভাবেই সুমাত্রার বাঘকে মেরে চিলেকোঠায় ঝুলিয়ে দেওয়া হল। বাঘের শরীরের ভিতরের অঙ্গ প্রতঙ্গ বার করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু কেন এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে ওই বাঘকে?
আরও পড়ুন- ডোকলামে হেলিপ্যাড বানাচ্ছে চিনা সেনা, দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের
জাকার্তার ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনজার্ভেশন এজেন্সির আধিকারিক হটমুলি সিয়ানতুরি জানিয়েছেন, কুঃসংস্কার থেকেই এই বাঘকে হত্যা করা হয়েছে। সিলুমান অর্থাত্ ভেকধারী বাঘ বলে মনে করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, কে বা কারা ওই বাঘকে হত্যা করেছে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। কিন্তু এক স্থানীয়র কথায়, যদি রেঞ্জার্সরা ওই বাঘকে না মারে তা হলে স্থানীয় বাসিন্দারাই হত্যা করত।
আরও পড়ুন- কম বয়সে মা হওয়াতে এগিয়ে এই দেশ!
হটমুলি জানিয়েছেন, এমন ঘটনা এখানে প্রায়শই ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝানো হয় সুমাত্রায় বাঘদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। কারণ, এই বাঘদের হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়াই রীতি বলে মনে করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টিকে ভীষণ দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন হটমুলি।
আরও পড়ুন- পাইথন কত ওজনের খাদ্য এক নিমিষে গিলতে পারে দেখুন
প্রসঙ্গত, সুমাত্রা বাঘ বা প্যান্থেরা টাইগ্রিস সুমাত্রে বর্তমানে বিলুপ্তির পথে বলে জানাচ্ছেন পশু বিজ্ঞানীরা। এই মুহূর্তে পৃথিবীতে এই ধরনের বাঘ রয়েছে ৪০০টির কাছাকাছি। আর তারমধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে, পরিনাম যে ভয়ঙ্কর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে পর্ন দেখে উত্তেজিত, বিমানসেবিকার সঙ্গে অসভ্যতা বাংলাদেশি যুবকের