আগামী দশক চিনের সমাজতন্ত্র কোন পথে হাঁটবে তার উত্তর খুঁজতে বেজিংয়ে শুরু কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় প্লেনাম
একদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্র, অন্যদিকে বাজার অর্থনীতি। দুইয়ের ভারসাম্য রেখে আগামী এক দশকে কোন পথে হাঁটবে চিনের সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি? গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আজ থেকে বেজিংয়ে শুরু হয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় প্লেনাম। ওই বৈঠকেই চিনের আর্থিক সংস্কাররের প্রশ্নটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে চিনের সরকারি সংবাদসংস্থা জিনহুয়া।
একদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্র, অন্যদিকে বাজার অর্থনীতি। দুইয়ের ভারসাম্য রেখে আগামী এক দশকে কোন পথে হাঁটবে চিনের সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি? গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আজ থেকে বেজিংয়ে শুরু হয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় প্লেনাম। ওই বৈঠকেই চিনের আর্থিক সংস্কাররের প্রশ্নটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে চিনের সরকারি সংবাদসংস্থা জিনহুয়া।
শনিবার থেকে বেজিংয়ে শুরু হল চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় প্লেনাম।১৯৭৮, ১৯৯৩সালে দলের তৃতীয় প্লেনাম থেকেই সংষ্কার নীতির পথে পা বাড়িয়েছিল কমিউনিস্ট চিন। সেই দুটি ঐতিহাসিক প্লেনামই হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব বদলের ঠিক পর। এবারেও জি জিংপিংয়ের নেতৃত্বে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ কেন্দ্রীয় কমিটিও তেমনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। চার দিন ধরে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের আলোচনায় যে সংষ্কারের প্রশ্নটিই গুরুত্ব পাবে, সরকারি তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন ``এই প্লেনারি সেশন চিনের সংষ্কারের প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেবে। আমাদের বিশ্বাস এই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। সংষ্কার এবং উন্নয়নের সঠিক দিশা দেখাবে।``
শনিবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনে প্লেনারি সেশনে যোগ দিয়েছেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির তিনশো ছিয়াত্তর জন সদস্য। এই বৈঠক উপলক্ষ্যে রাজধানী বেজিংকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
জি জিয়াং চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষপদে আসার পর প্রায় বছর ঘুরতে চলেছে। রীতি অনুযায়ী এবারে আগামী একদশকে চিনের অর্থনীতি কোন খাতে বইবে তা নিয়েই পরিকল্পনা দেবে নতুন নেতৃত্ব। দুহাজার কুড়ি সালের দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই থ্রি এইটটি থ্রি প্ল্যান নামে একগুচ্ছ প্রস্তাব নতুন নেতৃ্ত্বের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে পরিষেবা ক্ষেত্রের বিস্তার, ভূমি সংষ্কার সহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
গত তিন দশকে হাউই গতিতে চিনের উত্থান চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে গোটা দুনিয়ার। লাগাতার দশ শতাংশের ওপর অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার একলাফে চিনকে গ্লোবাল সুপার পাওয়ারের মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু গত দু-বছর ধরে বৃদ্ধির হার কমে ১০% নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের অভিযোগ। শেষ পার্টি কংগ্রেসের রিপোর্টেও যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। সংষ্কার আর রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের মধ্যে ভারসাম্য রেখে সেই সব সমস্যার মোকাবিলাই এখন চিনের নেতৃত্বের কাছে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ।