ফের বন্দুকবাজের হামলা মার্কিন মুলুকে
উইসকনসিনে ধর্মস্থানে গুলি চলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।
উইসকনসিনে ধর্মস্থানে গুলি চলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। মৃতদের মধ্যে হামলাকারী টমাস ক্যাফাল এবং এক পুলিসকর্মী ব্রায়ান ব্যাখমান রয়েছেন। তৃতীয় জন স্থানীয় বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে এক মহিলা এবং এক পুলিসকর্মী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জর্জ বুশ ড্রাইভে ঘটনাটি ঘটে। পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পরে ওই বন্দুকবাজেরও মৃত্যু হয়। উচ্ছেদের নোটিশ ধরাতে গিয়েই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
এই নিয়ে এক মাসের মধ্যেই আমেরিকাতে পর পর তিনটি বন্দুকবাজ হামলার ঘটনা ঘটল। জুলাইয়ের ২০ তারিখ কলোরাডোর ডেনভারে একটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা চলাকালীন বন্দুকবাজের হামলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই হামলাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার ঠিক পরেই এই মাসেরই ৪ তারিখ উইসকনসিনের এক ধর্মস্থানে আচমকা হামলা চালায় আরেক বন্দুকবাজ। ঘটনায় হামলাকারীসহ সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় সাত জনের। পরে পুলিস মৃত হামলাকারীকে জাতি-বিদ্বেষী বলে চিহ্নিত করে। উইসকনসিনের ঘটনা মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ঘটনার পরে প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবারে আবার গুলি চলল মার্কিন মুলুকে।
একের পর এক বন্দুকবাজ হামলায় ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের কপালে। মার্কিন দেশে আত্মরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র রাখা সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত। পর পর গুলি চলার ঘটনার পিছনে সহজলভ্য আগ্নেয়াস্ত্র এবং আইন প্রণয়নের শীথিলতাকে অন্যতম মূল কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।