বাইরের দেশ থেকে আসা কর্মীদের 'এলিয়েন' বলে কটাক্ষ ট্রাম্পের, আপাতত স্থগিত ওয়ার্কিং ভিসা
বাইরে দেশের কর্মীদের 'অ্যালিয়েন' সম্বোধন করে সোমবার ট্রাম্প সাফ জানান, আমেরিকাবাসীদের চাকরির জন্য যাঁরা প্রতিযোগী হয়ে উঠেছেন, তাঁদের জন্য প্রবেশাধিকার আপাতত বন্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগেই ৬০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল এইচ ১ বি, এইচ ২ বি ভিসা। এবার সম্পূর্ণ এই বছরের জন্য কোনও এইচ ১ বি, এইচ ৪, এল ১, জে ১ ভিসা দেবে না ট্রাম্পের অভিবাসন দফতর। যার অর্থ আমেরিকার বাইরে থেকে কেউ গিয়ে সে দেশে কাজ করতে পারবেনা।
একেবারে "এলিয়েন" সম্বোধন করে সোমবার ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন বাইরের দেশের কর্মী যাঁরা এসে আমেরিকাবাসীদের চাকরির জন্য প্রতিযোগিতায় ফেলছেন, তাঁদের সাময়িক প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। বাইরে দেশের কর্মীদের 'এলিয়েন' সম্বোধন করে সোমবার ট্রাম্প সাফ জানান, আমেরিকাবাসীদের চাকরির জন্য যাঁরা প্রতিযোগী হয়ে উঠেছেন, তাঁদের জন্য প্রবেশাধিকার আপাতত বন্ধ।
গত ২২ এপ্রিল ইউ এস টেক ওয়ার্কার্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে আমেরিকাবাসীদের সুবিধার জন্য এইচ ১ ও এইচ ২ এই দুই ওয়ার্কিং ভিসা ৬০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬০ দিন কেটে গিয়েছে। অত:পর বলবৎ থাকল সেই নিদান।
মার্কিন মুলুকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার এমন আমেরিকাবাসী এই কোভিড খাঁড়ায় কাজ হারিয়েছেন, যাঁদের শূন্যপদ এইচ ২ বি ভিসা দিয়ে পূরণ হয়ে যেতে পারে। এবং ২ লক্ষ এমন আমেরিকান কাজ হারিয়েছেন যাঁদের শূন্যপদ এইচ-১ বি ও এল ভিসা দিয়ে পূরণ হয়ে যেতে পারে। তাই আমেরিকাবাসীদের কাজের সুযোগ করে দিতেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: গল্পস্বল্প: ফ্যাতাড়ুরা যে কখন বিস্ফোরণ ঘটাবে সরকারও টের পাবে না!
আগের অর্থবর্ষে এই ওয়ার্কিং ভিসা মারফত আমেরিকায় যাঁরা কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। এবার তারা আর আমেরিকায় কাজ করতে যেতে পারবেন না। গত ২২ এপ্রিল যখন ট্রাম্প এই ভিসার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তখন বলেছিলেন, "গ্রেট আমেরিকানদের রক্ষার্থেই আমি এই নির্দেশে সই করেছি।" তবে যাঁরা এইচ-১ ভিসা নিয়ে এখন সে দেশে কাজ করছেন, তাঁদের উপর এই প্রভাব পড়বে না।
এপ্রিল মাসে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ডেমোক্র্যাট নেতা জোয়াকুইন কাস্ট্রো জানিয়ে ছিলেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছেন ট্রাম্প। সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রচার সমাবেশ শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সে জায়গায় এমন এক সিদ্ধান্ত যে শুধুই আমেরিকাবাসীদের রক্ষার্থে নয়। এর সঙ্গে আমেরিকানদের মন জয় করে নির্বাচন জয়ের রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে তা ইতিমধ্যেই আলোচ্য হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মহলে।