Sun Engulf Earth: অচিরেই সূর্য গিলে খাবে পৃথিবীকে? মহাপ্রলয় কি সামনেই...
৫ বিলিয়ন বছরের পরে সূর্য এক লাল দৈত্যে পরিণত হবে। গবেষকেরা থ্রি-ডায়মেনশনাল হাইড্রোডায়নামিক্যাল সিমিউলেশনের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, অগ্নিশর্মা সূর্য যখন গিলে খাবে পৃথিবী সহ অন্য গ্রহগুলিকে তখন সে আবার তার দীপ্তি ফিরে পাবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সূর্য যেন এক অগ্নিশর্মা গোলক। নিউক্লিয়ার ফিজিক্স মেনে সে দিন কাটাচ্ছে। পৃথিবীকে আলো দিয়ে, তাপ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু সূর্য যে সব সময়েই মহানুভব হয়ে থেকে যাবে, তা তো নয়। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এর হাইড্রোজেন জ্বালানি শেষের পথে। এবারই তার মধ্যে নানা বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। তখন আর তার মধ্যে থাকবে না কোনও প্রাণদায়ী শক্তি। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে, সূর্য নাকি গিলে খেতে পারে বুধ শুক্র এমনকি পৃথিবীকেও! রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে এই সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। নক্ষত্রের বিবর্তনেরই একটা পর্যায় একটি। কেন এমন হবে? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলেছেন, মহাকাশের সূর্যও এখন মিডলাইফ ক্রাইসিসে ভুগছে! সূর্য ক্রমশ বুড়িয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। সম্প্রতি জানা গিয়েছে আমাদের সৌরজগতের সূর্য তার মধ্যবয়সে পৌঁছেছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) গবেষকদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। সূর্যের বয়স ৪.৫৭ বিলিয়ন বছর। মধ্যবয়সে পৌঁছে সূর্য মধ্যজীবনের নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কী সেই সংকট? সংকটের মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন সৌরশিখা সৃষ্টি, করোনাল ম্যাস ইজেকশন, যাকে 'সিএমই' বলা হয়, সৌরঝড়ের মতো বিষয়। ইএসএ-র পাঠানো গাইয়া নামের মহাকাশযান থেকে সংগৃহীত সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা সূর্য সম্পর্কে এইসব তথ্য দিয়েছিলেন।
গত ১৩ জুন গাইয়া মহাকাশযান থেকে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের তথ্য (ডিআরথ্রি নামে পরিচিত) উন্মুক্ত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এতে কয়েক মিলিয়ন নক্ষত্র পর্যবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এর মধ্যে নক্ষত্রের তাপমাত্রা, আকার ও ভরের মতো বিষয়ও ছিল। পৃথিবী থেকে যেসব নক্ষত্রের দেখা মেলে, সেগুলির উজ্জ্বলতা ও রং সঠিকভাবে ধরতে পারে গাইয়া। সেই মৌলিক পর্যবেক্ষণযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলিকে কাজে লাগানোর মতো তথ্যে রূপান্তর করতে গবেষকদের ব্যাপক পরিশ্রম প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে, ভবিষ্যতে আমাদের সূর্য কেমন রূপ ধারণ করবে, ওই সব তথ্য বিশ্লেষণ করেই এর একটা পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকেরা।
ইএসএ-র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের সূর্যের বয়স এখন ৪.৫৭ বিলিয়ন বছরের কাছাকাছি। এটি তার মধ্যবয়স পার করছে। নিজের ভেতরে বাকি-থাকা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম জ্বালানিটুকু স্রেফ বসে বসে শেষ করছে। তবে বর্তমানে এটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সব সময় এমনটা থাকবে না। অচিরেই বার্ধক্য গ্রাস করবে তাকে। কী হবে তখন? বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের মূল অংশে হাইড্রোজেন জ্বালানি কমে গেলে ও ফিউশনপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটলে সূর্য তখন একটি লাল দৈত্য নক্ষত্রে পরিণত হবে। এতে সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে। তবে এই প্রক্রিয়াটির আরম্ভ ও সম্পাদন নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট নক্ষত্রের ভর ও তার অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক গঠনের উপর।