স্নোডেন আতঙ্কে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের যাত্রাপথ বদল

স্নোডেন-আতঙ্কে জেরবার সারা বিশ্বের কূটনৈতিক মহল। আতঙ্ক এতটাই যে, বিমানে স্নোডেন রয়েছেন, এই গুজবের জেরে বদলাতে হয় বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের বিমানের যাত্রাপথ। নিজেদের আকাশসীমায় বিমানকে ঢুকতে দেয়নি ফ্রান্স ও পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত স্পেনে জ্বালানি ভরে অস্ট্রিয়ার সহায়তায় দেশে ফিরতে পারেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট।

Updated By: Jul 3, 2013, 10:11 PM IST

স্নোডেন-আতঙ্কে জেরবার সারা বিশ্বের কূটনৈতিক মহল। আতঙ্ক এতটাই যে, বিমানে স্নোডেন রয়েছেন, এই গুজবের জেরে বদলাতে হয় বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের বিমানের যাত্রাপথ। নিজেদের আকাশসীমায় বিমানকে ঢুকতে দেয়নি ফ্রান্স ও পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত  স্পেনে জ্বালানি ভরে অস্ট্রিয়ার সহায়তায় দেশে ফিরতে পারেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট।
ভারত সহ কুড়িটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। এখনও রাজি হয়নি কোনও দেশ। ওবামা প্রশাসনের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড সেই স্নোডেনের ভয়ই তাড়া করে বেড়াচ্ছে বিশ্বের কূটনৈতিক মহলকে। স্নোডেন-আতঙ্কের  জের হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। রাশিয়ায় সম্মেলন শেষে বিমানে দেশে ফিরছিলেন তিনি। হঠাত্‍ই খবর রটে যায়, ওই বিমানেই রয়েছেন স্নোডেন। না, এরপর আর যাত্রা সহজ হয়নি বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের। বিমানটিকে নিজেদের আকাশসীমায় ঢুকতে দেয়নি ফ্রান্স ও পর্তুগাল। কেবলমাত্র জ্বালানি ভরার অনুমতি দেয় স্পেন। শেষপর্যন্ত ভিয়েনায় বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের বিমানকে অবতরণের সুযোগ দেয় অস্ট্রিয়া সরকার।
 
পরে বলিভিয়া, অস্ট্রিয়া দুই দেশই একযোগে জানায় বিমানে স্নোডেন থাকার খবর নেহাতই গুজব। প্রেসিডেন্টের প্রতি পশ্চিমী দেশগুলির এহেন আচরণের কড়া নিন্দা করেছে  বলিভিয়া। প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করতেই এই গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বলিভিয়ার বিদেশমন্ত্রী। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। ক্ষোভ ছড়িয়েছে বলিভিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যেও। রাজধানী লা পাজে ফরাসি দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান ইভো মোরেলের সমর্থকেরা।
 
বিশ্বজোড়া এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই আপাতত মস্কো বিমান বন্দরেই বসে রয়েছেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। তাঁকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য ওবামা প্রশাসনই বিভিন্ন দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রাশিয়া রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কথা বললেও পুতিন প্রশাসন জানিয়েছে সেক্ষেত্রে মার্কিনবিরোধী কাজকর্মে ইতি টানতে হবে স্নোডেনকে। তবে এই মুহুর্তে স্নোডেনকে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। মস্কোয় দাঁড়িয়েই স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে জোর সওয়াল করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পুতিনের শর্ত মেনে রাশিয়াতেই যদি থেকে যান স্নোডেন, তাহলে ঠাণ্ডাযুদ্ধের আমলের কূটনৈতিক লড়াইয়ের আরও একটা পর্যায় দেখতে হতে পারে গোটা বিশ্বকে।
 

.