টোকিওর রাস্তায় চালকহীন বাস, গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার

বাসে চড়লেন, অথচ ড্রাইভারের সিটের দিকে তাকিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। চালক ছাড়াই ছুটছে বাস। ভুতুড়ে ব্যাপার ভেবে বাস থেকে লাফ মারবেন না কিন্তু। বাস আপনাকে ঠিক পৌছে দেবে আপনার গন্তব্যে। টোকিওর রাস্তায় নেমে পড়েছে এই স্বয়ংক্রিয় বাস।

Updated By: Jul 8, 2016, 06:57 PM IST
টোকিওর রাস্তায় চালকহীন বাস, গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার

ব্যুরো: বাসে চড়লেন, অথচ ড্রাইভারের সিটের দিকে তাকিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। চালক ছাড়াই ছুটছে বাস। ভুতুড়ে ব্যাপার ভেবে বাস থেকে লাফ মারবেন না কিন্তু। বাস আপনাকে ঠিক পৌছে দেবে আপনার গন্তব্যে। টোকিওর রাস্তায় নেমে পড়েছে এই স্বয়ংক্রিয় বাস।

চালকহীন বাস। শুনেছেন কখনও? একটিবার টোকিও ঘুরে আসুন। চালকহীন বাসে চড়ার স্বাদ উপভোগ করবেন চুটিয়ে। ভাবছেন, ধুস, এ আবার হয় নাকি? হয় হয়। প্রযুক্তির কেরামতিতে সব হয়। আর দেশটার নাম যদি জাপান হয়, তো বেশি করেই হয়। প্রযুক্তির এমন পাঠশালা কোত্থাও খুঁজে পাওয়াই ভার।

চলুন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। চালকহীন বাসে চড়ে একচক্কর মেরে আসতে আপত্তি কোথায়? ইলেকট্রিকে চলবে বাস। যাত্রী কিন্তু হাতে গোনা। মাত্র বারো। রোবটের কেরামতি বাস জুড়ে। বয়স্ক বা প্রতিবন্ধীরাও দিব্যি চড়তে পারবেন বাসে। লিফটে সোজা উঠে যান বাসের অন্দরমহলে। জিপিএস এবং কয়েকটি ক্যামেরার সাহায্যে নির্দিষ্ট পথে ছুটবে বাস। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় চল্লিশ কিলোমিটার। গোটা বাসটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সব তো হল। কিন্তু নিরাপত্তা? বাস ডিপোর কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণে কোনও খামতি নেই তো? তাহলেই তো মারাত্মক বিপদ। জাপানের যে সংস্থা এই বাস তৈরি করেছে, তার জেনারেল ম্যানেজার হিরোশি নাকাজিমা জানাচ্ছেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে তাঁরা কোনও আপস করতে নারাজ। তাই একবার নয়, রাস্তায় নামার আগে প্রতিটি বাসে বেশ কয়েকবার নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

২০২০-র টোকিও অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে জাপান যে পরিবহণে বিপ্লব আনতে এক্কেবারে তৈরি, তা বেশ স্পষ্ট।

 

.