Russia-Ukraine war: বোতল হাতে দীর্ঘ লাইন! জলের জন্য হাহাকার কিয়েভে! যুদ্ধ কি জলসংকট ডেকে আনছে?
Water Crisis in Kyiv: কিয়েভের মেয়র জানান, কিয়েভের ৪০ শতাংশ মানুষ জল ছাড়া রয়েছেন। শহরের ২ লাখ ৭০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগই নেই!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জলের জন্য দীর্ঘ লাইন! জলের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের। সোমবার ইউক্রেন জুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানা যায়। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো জানান, কিয়েভের ৪০ শতাংশ মানুষ জল ছাড়া রয়েছেন। শহরের ২ লাখ ৭০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগই নেই! হামলার পরে কিয়েভের ৮০ শতাংশ মানুষই জলসংকটে পড়েন। রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও এদিন লিভিভ, নিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ ও জাপোরিঝিয়ায়ও হামলা চালানো হয়। সব মিলিয়ে ১০টি অঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলিতে আঘাত আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয়দের বেঁচে থাকার ইচ্ছেকে ধ্বংস করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার হাতে নেই!
ইউক্রেন বলেছে, দেশ জুড়ে রাশিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা ও জ্বালানিভাণ্ডার লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এবং প্রায় সব লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত হানা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই সব হামলা ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজে ইউক্রেনের হামলার জবাবে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়ার ছোড়া ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৪৫টিই তারা নষ্ট করতে পেরেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি এবং আবার হামলার আশঙ্কা থাকায় রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলির প্রকৃত ছবি প্রকাশ করছে না ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। তবে সর্ব শেষ হামলার পরে এর ক্ষতিকর প্রভাব প্রায় সর্বত্রই অনুভূত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় হিসেব করে লোডশেডিং করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে অত্যন্ত মিতব্যয়ী হতে সব ইউক্রেনীয়র প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিয়েভের রাস্তাতেও আলো নিভিয়ে রাখা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক বাসের পরিবর্তে চালানো হচ্ছে সাধারণ বাস।
বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকায় স্বাভাবিক জলসরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তখন রাস্তার পাম্পগুলি থেকে জল সংগ্রহ করতে রাস্তায় নামেন লোকজন। তঁদের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বাড়িতে পুনরায় সংযোগ দিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।