War Crimes: ইউক্রেনে রুশবাহিনী বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে, জানিয়ে দিল রাষ্ট্রসংঘ...
War Crimes: তদন্ত কমিশন যেসব তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে, তা থেকে বলা যায়, ইউক্রেনে রুশবাহিনী বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারীরা সচরাচর এমন অভিমত দেন না। ফলে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা শুরুর পর থেকে রুশবাহিনী ইউক্রেনে অসামরিক এলাকায় বোমা ফেলেছে, অসামরিক মানুষজনের উপর অত্যাচার, তাঁদের উপর যৌন নির্যাতন এবং হত্যাও চালিয়েছে তারা। আর এই সব কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধই করেছে রাশিয়া, যুদ্ধের সাত মাসে এ কথা বলল রাষ্ট্রসংঘ। যুদ্ধাপরাধবিষয়ক তদন্তকারী দলের প্রধান এরিক মোজে শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে তাঁদের অভিমত জানান। তিনি বলেন, তদন্ত কমিশন যেসব তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে, তা থেকে বলা যায়, ইউক্রেনে রুশবাহিনী বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘর তদন্তকারীরা সচরাচর এমন অভিমত দেন না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সাত মাসে এসে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞদের এই অভিমত তাই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Nuclear Blackmail: পশ্চিমি বিশ্বকে কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের, বাড়াচ্ছেন সেনার সংখ্যাও...
ইউক্রেনযুদ্ধে রুশবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ খুঁজতে মে মাসে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকারী দল গঠন করেছিল রাষ্ট্রসংঘের কাউন্সিল অব এনকোয়ারি (সিওআই)। এই দলের তিনজন তদন্তকারী সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে প্রথমবার মৌখিকভাবে তাঁদের অভিমত জানাল। তাঁরা জানালেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দেশটির চেরনিহিভ, খারকিভ ও সুমি অঞ্চলের বিভিন্ন ঘটনা সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এই সব অঞ্চলে রুশবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ তাঁদের হাতে আসে। এবার তাঁরা আরও বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ খুঁজে দেখছেন। রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী দলের প্রধান এরিক মোজে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের জনবহুল এলাকায় হামলা চালিয়েছে, বোমা ফেলেছে। এসব ঘটনায় বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে। বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছেন সাধারণ ইউক্রেনবাসী। আন্তর্জাতিক আইনে যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
ইউক্রেনে রুশ সেনাদের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিভিন্ন অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এরিক মোজে জানান, ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও নারী। এছাড়া বহু মানুষ রুশবাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বহু মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। আগেও বিভিন্ন সময়ে ইউক্রেনের অনেক শহরে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
ইউক্রেনের ১৬টি শহর ও বসবাসস্থলে রুশবাহিনীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত করছে রাষ্ট্রসংঘ। এরিক মোজে জানান, এ ছাড়াও ইউক্রেনের আরও বেশ কিছু জায়গায় রুশসেনার বিরুদ্ধে আইনবিরুদ্ধ কাজের অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা।