Rishi Sunak: লিজের অনেকটাই পিছনে, কিন্তু জিতলে সুনাক হতেন অতি রঙিন চরিত্রের এক প্রধানমন্ত্রী
তাঁকেই বরিস-পরবর্তী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ধরে নিচ্ছিল। কিন্তু সময় যত এগোয়, ভোটের রাউন্ড যত এগোয় ছবিটা বদলে যেতে থাকে। এখন দেখা যাচ্ছে সুনাকের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে লিজ ট্রাস। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হতে পারতেন, হলে বিরল মাপের ইতিহাস তৈরি হত। কেননা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কেউ অর্থনীতির বহরের দিক থেকে বিশ্বের পঞ্চম-বৃহত্তম দেশটির প্রশাসনিক প্রধান হলে সেটা খুবই স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হতে পারত। ঋষি সুনাকের কথা বলা হচ্ছে। বরিস জনসনের পদত্যাগের পরে ঋষি সুনাক যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তাতে সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহল তাঁকেই বরিস-পরবর্তী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ধরে নিচ্ছিল। কিন্তু সময় যত এগোয়, ভোটের রাউন্ড যত এগোয় ছবিটা বদলে যেতে থাকে। এখন দেখা যাচ্ছে সুনাকের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে লিজ ট্রাস। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক।
ওপিনিয়ন পোল দেখাচ্ছে লিজ ট্রাস ঋষিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে। কোনও কোনও মহল বলছে, বরিসের মন্ত্রীসভায় ঋষির আচরণকেও এক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করে দেখা চলছে। শুধু তাই নয়, মূল্যস্ফীতি যখন ক্রমশ চেপে ধরছিল ব্রিটেনের অর্থনীতিকে তখনও ব্যক্তিগত ভাবে অসম্ভব ধনী ঋষি চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার হিসেবে তেমন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এমনকি সম্প্রতি লিজ ট্রাসের সঙ্গে এক মুখোমুখি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়ে ঋষি লিজের কর-হ্রাসর নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
সুনাকের উঠে আসাটা অবশ্য খুবই রঙিন। তাঁর ঠাকুরদাদা ছিলেন পঞ্জাবের মানুষ। খুব সামান্য পুঁজি নিয়ে তাঁরা ব্রিটেনে গিয়েছিনে। প্রথম দিকটা খুবই কষ্টে-সৃষ্টে কেটেছিল। তবে সুনাকের বাবা সেখানে চিকিৎসক হন। তাঁর রোজগার মন্দ ছিল না। আর সুনাকের মা একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন। এমনকি ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ডে পড়তে যাওয়ার আগে স্বয়ং সুনাকের জীবনও খুব ম্যাড়মেড়েই ছিল। কিন্তু ক্রমশ বদলে যায় সুনাকের ভাগ্য। আজ তিনি অতি অতি ধনীর গোত্রে পড়েন। প্রভাব-প্রতিপত্তি, তাঁর জীবনযাপন, তাঁর পোশাক-আশাক, তাঁর নিজস্ব বন্ধুবর্গ-- সমস্তই সাধারণের ধরাছোঁয়ার অনেক অনেক বাইরে।
আরও পড়ুন: Earthquake in Nepal: হিমালয়ে তীব্র ভূকম্প, কেঁপে উঠল সংলগ্ন অঞ্চল