দূষণের বিষ ধোঁয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর পূর্ব চিন, বন্ধ স্কুল -কলেজ-অফিস

ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ধুলিকণা মিশে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর পূর্ব চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা। দৃশ্যমানতা একেবারে কমে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পথঘাট, বন্ধ রইল সব কিছুই। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ হয়ে  যায় যে খুব প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরতেও সাহস পাননি। যাঁরা বেরিয়েছিলেন, দূষণ থেকে বাঁচতে তাঁরা সকলেই পড়েছিলেন মাস্ক।

Updated By: Oct 22, 2013, 08:40 AM IST

ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ধুলিকণা মিশে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর পূর্ব চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা। দৃশ্যমানতা একেবারে কমে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পথঘাট, বন্ধ রইল সব কিছুই। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ হয়ে  যায় যে খুব প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরতেও সাহস পাননি। যাঁরা বেরিয়েছিলেন, দূষণ থেকে বাঁচতে তাঁরা সকলেই পড়েছিলেন মাস্ক।
শুধু হার্বিন নয়। সোমবার উত্তর-পূর্ব চিনের বেশ কয়েকটি শহরের ছবিটা ছিল এরকম। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ও তার সঙ্গে বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ধুলিকণার মিশ্রণে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এইসব শহরে। ফলে সূর্য উঠলেও, তার আলো পৌঁছতে বেলা গড়িয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই হিলংগিয়াং প্রদেশ ও জিলিন প্রদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে স্থানীয় প্রশাসন।
হার্বিন, চ্যাংচুন, বেজিং কিম্বা ট্যাংশ্যানের মত বড় বড় শহরেও ধোঁয়াশার প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। ইচ্ছে থাকলেও সময়ের অনেক পরেই অফিস পৌঁছন কর্মীরা। যাঁদের সেভাবে বাইরে বেরনোর দরকার পড়েনি, দিনটা তাঁদের কাটে ঘরবন্দি হয়েই। যাঁরা বাধ্য হয়েই বেরিয়েছিলেন, দূষণ থেকে বাঁচতে মুখে পড়েছিলেন মাস্ক।
 
বহু শহরে অন্য দিনের থেকে বাস ও ট্যাক্সির সংখ্যা ছিল কম। দৃশ্যমানতা তলানিতে চলে যাওয়ায় উত্তর-পূর্ব চিনের অধিকাংশ শহরেই বন্ধ ছিল বিমানবন্দর। প্রভাব পড়ে ট্রেন চলাচলেও। দুর্ঘটনা এড়াতে বেশ কয়েকটি হাইওয়ে ছিল বন্ধ। যেগুলি খোলা ছিল, সেখানে ছিল দীর্ঘ ট্যাফিক জ্যাম। হার্বিন-ডাকিং এক্সপ্রেসওয়েতে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

Tags:
.