শার্লি এবদোর দফতরে হামলা: আত্মসমর্পণ ১ হামলাকারীর, দুই বন্দুকবাজ ভাইয়ের খোঁজে পুলিস

প্যারিসে ফরাসি পত্রিকার দফতরে  হামলাকারী তিন জনকে চিহ্নিত করল পুলিস।  হামলাকারীদের একজন ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।  ১৮ বছরের ওই যুবকের নাম হামিদ মুরাদ। হামলাকারীদের গাড়িটি সে চালাচ্ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে।

Updated By: Jan 8, 2015, 10:24 AM IST
শার্লি এবদোর দফতরে হামলা: আত্মসমর্পণ ১ হামলাকারীর, দুই বন্দুকবাজ ভাইয়ের খোঁজে পুলিস

প্যারিস: প্যারিসে ফরাসি পত্রিকার দফতরে  হামলাকারী তিন জনকে চিহ্নিত করল পুলিস।  হামলাকারীদের একজন ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।  ১৮ বছরের ওই যুবকের নাম হামিদ মুরাদ। হামলাকারীদের গাড়িটি সে চালাচ্ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে।

হামিদ মুরাদ উত্তরপূর্ব ফ্রান্সের   রেইমসের বাসিন্দা। বাকি দুই হামলাকারী সৈয়দ কউয়াচি এবং  তার ভাই শেরিফ থাকে প্যারিসেই। এই দুই ভাই বুধবার মুখোশপরে  পত্রিকার দফতরে হামলা চালিয়েছিল বলে পুলিসের অনুমান। গাড়ির মধ্যে ফেলে যাওয়া পরিচয় পত্র থেকেই পুলিস হামলাকারীদের সূত্র পেয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।  

প্যারিসে ব্যঙ্গ পত্রিকা দফতরে বন্দুকবাজদের হানায় মৃত্যু হল ১২ জনের। বন্দুকবাজদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন সাংবাদিক, ৪ জন কার্টুনিস্টের। সঙ্গে নিহত হয়েছেন দুজন পুলিসকর্মীও। হামলায় আহত ১০জন।  তাঁদের মধ্যে ছজন আশঙ্কাজনক। প্রাণ হারিয়েছেন পত্রিকার সম্পাদকও। হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরাই, জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অঁলা।   

বুধবার ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদোর দফতরে কালাশনিকভ ও রকেট লঞ্চার  নিয়ে হামলা চালায় দুই বন্দুকবাজ। একটি ছিনতাই করা গাড়িতে চেপে এসে হামলা চালায় তারা।  পত্রিকা দফতরে ঢুকে পড়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুই হামলাকারী। পাল্টা জবাব দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে দুপক্ষের মধ্যে। সেই সময়ই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। পরে ছিনতাই করা গাড়িতে চেপেই উধাও হয় তারা।

২০০৬ সালে মহম্মদের একটি বিতর্কিত কার্টুন পুনর্মুদ্রিত করেছিল ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদো।  এর জেরে মুসলিমদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পত্রিকাটিকে। কার্টুনটি প্রথম প্রকাশিত হয় একটি ডাচ পত্রিকায়। ২০১১ সালের নভেম্বরে ফের মহম্মদের কার্টুন ছাপায় বোমা মারা হয় পত্রিকার দফতরে। একই কারণে পত্রিকার দফতরে হামলা হয় ২০১২ সালে।

এবার হামালা সশস্ত্র বন্দুকবাজদের। ফরাসি পত্রিকায় হামলার নিন্দা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হামলার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

.