নির্জোট সম্মেলনে মনমোহন সিং

ষোড়শ নির্জোট সম্মেলনে যোগ দিতে তেহরান পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সম্মেলনের ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনাজাদ ছাড়াও পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জরদারির সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু আয়েতুল্লা খোমেইনির সঙ্গেও দেখা করবেন মনমোহন সিং।

Updated By: Aug 29, 2012, 12:47 PM IST

ষোড়শ নির্জোট সম্মেলনে যোগ দিতে তেহরান পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সম্মেলনের ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনাজাদ ছাড়াও পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জরদারির সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু আয়েতুল্লা খোমেইনির সঙ্গেও দেখা করবেন মনমোহন সিং।
২০০১-এ ইরান সফরে গিয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তারপর এই প্রথম ইরান সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে এই মুহূর্তে মার্কিন প্রশাসনের রোষানলের মুখে ইরান। তাই আহমেদিনাজাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক শিথিল করার জন্য ভারতের ওপর ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে ১২০টি দেশের নির্জোট সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপস্থিতি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
তেহেরানে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন নিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকরা খুব একটা আশাবাদী না হলেও, দিল্লির কাছে এই সফর খুবই গুরুত্বের। কারণ পরমাণু জ্বালানী সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ভারতের কাছে ইরানের গুরুত্ব দীর্ঘ মেয়াদী। মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনেও অবস্থানগত দিক দিয়ে দিল্লির কাছে তেহেরানের গুরুত্ব অপরিসীম।
এছাড়া আফগানিস্তানের মাটি থেকে মার্কিন সেনা ফিরে গেলে, উপমহাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও দুই দেশের সহযোগিতা জরুরি বলে মনে করে মনমোহন সিং সরকার। তাই মার্কিনি বিধি নিষেধকে কিছুটা উপেক্ষা করে ইরান সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এছাড়াও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কথা হবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।

.