তালিবান ফতোয়া অগ্রাহ্য করে গুলিতে ঝাঁঝরা পাক গায়িকা
তালিবানদের তরফে প্রাণনাশের হুমকি আসছিল অবিরত। তা সত্ত্বেও মুসলিম মৌলবাদের আঁতুড়ঘর পেশোয়ারে বসেই সঙ্গীত-সাধনা জারি রেখেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তারই মাসুল দিতে হল ঘজালা জাভেদকে। অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিদের স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল জনপ্রিয় এই পাক গায়িকায় দেহ।
তালিবানদের তরফে প্রাণনাশের হুমকি আসছিল অবিরত। তা সত্ত্বেও মুসলিম মৌলবাদের আঁতুড়ঘর পেশোয়ারে বসেই সঙ্গীত-সাধনা জারি রেখেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তারই মাসুল দিতে হল ঘজালা জাভেদকে। অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিদের স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল জনপ্রিয় এই পাক গায়িকায় দেহ।
এদিন সকালে খাইবার-পাখতুনওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের ডাবগারি বাজার এলাকার ব্যস্ততম মোল্লা নাউ রাস্তা দিয়ে একটি গাড়িতে যাচ্ছিলেন ঘজালা জাভেদ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা মহম্মদ জাভেদ এবং ছোট বোন ফারহাত বিবি। আচমকাই দুই ব্যক্তি মোটর সাইকেলে এসে গাড়ি লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, ঘজালা এবং মহম্মদ জাভেদের। অল্পের জন্য বেঁচে যান ফারহাত।
প্রাথমিকভাবে পুলিসের ধারণা, হেকিমুল্লা মেহসুদের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠীর জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। সাম্প্রতিককালে পাক-আফগান সীমান্তে তেহরিক-ই-তালিবান গোষ্ঠীর জঙ্গিদের ডেরায় বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালিয়েছে ন্যাটো বাহিনী। পাক সেনার তরফেও বেশ কয়েকটি অভিযান সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু তার ফলে যে জঙ্গিদের মনোবলে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি আজকের ঘটনা তা ফের প্রমাণ করল। তবে এর পাশাপাশি উঠে আসছে অন্য একটি তথ্যও। আদতে সোয়াট উপত্যকার অধিবাসী ঘজালা দু`বছর আগে পেশোয়ারের নাগরিক জাহাঙ্গির খানকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে বাবা এবং বোনের সঙ্গে পেশোয়ারেরই অন্য একটি বাড়িতে বাস করছিলেন তিনি। খুনের পিছনে পারিবারিক কলহের কোনও ভূমিকা আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিস।