মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না পাকিস্তান : গিলানি

মার্কিন চাপের কাছে কখনই নতিস্বীকার করবে না পাকিস্তান । সর্বদলীয় বৈঠকে একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। পাক জঙ্গি সংগঠন হক্কানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমেরিকা একতরফা ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে।

Updated By: Sep 30, 2011, 12:09 AM IST

মার্কিন চাপের কাছে কখনই নতিস্বীকার করবে না পাকিস্তান । সর্বদলীয় বৈঠকে একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। পাক জঙ্গি সংগঠন হক্কানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমেরিকা একতরফা ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে। এই আশঙ্কার মুখে গিলানি বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাক সেনার প্রতি তাঁদের পুর্ণ আস্থা রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে।

জঙ্গিদমন ইস্যুতে জোটসঙ্গী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক অভিযোগে দিশেহারা পাক নেতৃত্ব। কূটনৈতিক সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ার পাশাপাশি পাকিস্তান জুড়ে মার্কিন বিরোধিতা বৃদ্ধি পেয়েছে মারাত্মক হারে। কোণঠসা পরিস্থিতিতে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে পাশে পেতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের শুরুতেই তিনি স্পষ্ট করে দেন,মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না পাকিস্তান। গিলানি বলেছেন, এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তান যা কিছু করেছে তার থেকে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।
আইএসআই-জঙ্গি আঁতাত নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন গিলানি।
আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে পাক সহযোগিতার কথা বলেছেন গিলানি। তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক মহলকেও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে হবে। কূটনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় জোর দিয়েছেন গিলানি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনাপ্রধান আশফাক পরভেজ কায়ানি ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান সুজা পাশা। বৈঠকে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন পাক বিদেশমমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ও আইএসআই প্রধান সুজা পাশা। তবে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছে কট্টরপন্থী দলগুলি। জোট শরিক মুত্তাহিদা কৌওমি মুভমেন্ট জঙ্গিদমনে জোরদার অভিযানের পক্ষে। পাক বিদেশনীতির পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন। বর্তমান সঙ্কটে বিরোধী ও শরিক দলগুলিকে পাশে চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু রাজনৈতিকদলগুলির ভিন্নমুখী অবস্থান থেকে স্পষ্ট, এখনই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে তৈরি নয় পাকিস্তানের দলগুলি।

.