বরফ সরিয়ে বসন্ত
পুরু তুষারের চাদর ঢেকে ফেলেছিল গোটা এলাকা। টানা ৪০ দিন ঘর থেকে বেরোতেই পারেননি গরম চাশমার মানুষ। কিন্তু, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দেখা মিলল সেই প্রতীক্ষিত উষ্ণতার। উত্তর পাকিস্তানের চিত্রলের অচেনা গ্রাম গরম চাশমাকে জানান দিল বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
পুরু তুষারের চাদর ঢেকে ফেলেছিল গোটা এলাকা। টানা ৪০ দিন ঘর থেকে বেরোতেই পারেননি গরম চাশমার মানুষ। কিন্তু, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দেখা মিলল সেই প্রতীক্ষিত উষ্ণতার। উত্তর পাকিস্তানের চিত্রলের অচেনা গ্রাম গরম চাশমাকে জানান দিল বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
কয়েকমাস আগেই বিয়ে হয়েছে পরভিনের। তারপর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে আর দেখাই করা হয়নি ওর। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বরফের দেওয়াল। কিন্তু ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কাঁচা সোনা রোদের দেখা মিলতেই মন কেমন করা পেয়ে বসল পরভিনের। কারণ, বরফ গলার দিন শুরু হলেই যে ওর বাড়িতে আসবেন বাবা-মা।
এলেনও।
পরিবারের আরও অনেককে নিয়ে এলেন। আর এই আগমনই উত্তর পাকিস্তানের চিত্রলের গরম চাশমায় নিয়ে এল বসন্তের বার্তা। প্রতিবছরই এই সময় পালিত হয় পঠক। বসন্তের উত্সব।
ভুট্টার গুঁড়ো দিয়ে আজও অভ্যর্থনা জানানো হয় অতিথিদের। আর তারপর এক্কেবারে ভুরিভোজ।
বরফের কারণে টানা ৪০ দিন ঘরবন্দি ছিল চিত্রলের গরম চাশমা। সূর্যের আলোর ওম বাড়ির উঠোন ছুঁতেই দরজা খুলে বেরিয়ে পড়ল গোটা গ্রাম। বেরিয়ে পড়ল প্রার্থনা জানাতে। প্রার্থনা একটাই। কনকনে ঠান্ডার পর ফিবছর যেন এভাবেই বসন্তকে বরণ করে নিতে পারে গরম চাশমা।