উপযুক্ত প্রমাণ নেই, সরবজিত খুনে ২ মূল অভিযুক্তকে মুক্তি দিল পাক আদালত
ওই মামলায় সাক্ষী ছিল অনেকেই। কিন্তু তার শেষপর্যন্ত পাল্টি খেয়ে যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরবজিত সিং খুনের মামলায় চাঞ্চলকর রায় দিল পাকিস্তানের আদালত। মামলায় মূল অভিযুক্ত ২ জনকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করলেন লাহোরের অতিরিক্ত জেলা বিচারক মহম্মদ মইন খোক্কার।
আরও পড়ুন-‘জনগণের টাকা উদ্ধারের চেয়ে সরকারের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাকে দেশে রাখা’
২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল লাহোরের কোট লাখপত জেলের মধ্যেই প্রচন্ড মারধর করা হয় পঞ্জাবের বাসিন্দা সরবজিতকে। ওই মারধরে জড়িত ছিল আমির ও মুদাসাসরই। ওই আঘাতেই শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় সরবজিতের। ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল আমির তাম্বা ও মুদাসাসর নামে দুজন। এদের কারও বিরুদ্ধেই উপযুক্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে শেষপর্যন্ত তারা মুক্তি পেয়ে যায়।
ওই মামলায় সাক্ষী ছিল অনেকেই। কিন্তু তার শেষপর্যন্ত পাল্টি খেয়ে যায়। আদালতের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কোনও সাক্ষীই ওই দুজনের বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষ্য দেয়নি। এদিন সবারই সাক্ষ্য নেওয়া হয় ভিডিও কন্ফারেন্সর মাধ্যমে।
মামলার শুনানির সময় এক সাক্ষী আদালতে জানিয়েছিলেন, সরবজিতকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার সাক্ষ্য নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু হাসপাতালের চিকতসকরা আমাকে থামিয়ে দেন।
আরও পড়ুন-খাঁটি মদ তৈরিতে উদ্যোগী সরকার, পরিশুদ্ধ জল ব্যবহারের নির্দেশ
সরবজিত সিং খুনের ঘটনা আদালতে ওঠার আগে এনিয়ে বিচারক মাজহার আলি নকভির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সেই রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়। সেখানে কী রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
১৯৯০ সালের ২৯ অগাস্ট পঞ্জাব সীমান্ত পার করে পাকিস্তান ঢুকে পড়েন। তাকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। পরে তার বিরুদ্ধে ফয়সলাবাদ, মুলতান, লাহোরের বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।