সমঝোতার পথে হেঁটে কার্যত নতিস্বীকার পাক সরকারের
অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল পাকিস্তান সরকার। চারদিনর মাথায় সুফি নেতা তাহারুল কাদরির সঙ্গে রফার পথে হাঁটল জর্দারি প্রশাসন। গত কয়েক দিনের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ, লং মার্চ, জমায়েত এবং হুঁশিয়ারির পর, বৃহস্পতিবার রাতে সুফি নেতা কাদরির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন সরকার পক্ষের ১০ জন প্রতিনিধি। নেতৃত্বে ছিলেন চৌধুরী সুজাত হুসেন। সেখানেই বর্ষীয়ান নেতার দাবি মেনে নিতে রাজি হয় সরকারপক্ষ।
অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার করল পাকিস্তান সরকার। চারদিনর মাথায় সুফি নেতা তাহারুল কাদরির সঙ্গে রফার পথে হাঁটল জর্দারি প্রশাসন।
গত কয়েক দিনের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ, লং মার্চ, জমায়েত এবং হুঁশিয়ারির পর, বৃহস্পতিবার রাতে সুফি নেতা কাদরির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন সরকার পক্ষের ১০ জন প্রতিনিধি। নেতৃত্বে ছিলেন চৌধুরী সুজাত হুসেন। সেখানেই বর্ষীয়ান নেতার দাবি মেনে নিতে রাজি হয় সরকারপক্ষ।
এরপর তৈরি হয় সমঝোতা পত্র। তাতে বলা হয়, ১৬ মার্চের মধ্যে যে কোনও সময় ভেঙে দেওয়া হবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। তারপর ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে পাকিস্তানে। সেইসময় দায়িত্বে থাকবে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য দু`টি নাম প্রস্তাব করা হবে। সাধারণ মানুষ এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলি যাঁকে চাইবেন, তিনিই হবেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
রাতেই সমঝোতাপত্রে সই করেন প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জার্দারি। এরপর সেটি সরকারপক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই জনতার উদ্দেশে পড়ে শোনান সুফি নেতা কাদরি। সেইসঙ্গে নিজের লং মার্চ এবং অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। একইসঙ্গে সরকারের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, রাতে সেগুলিও তুলে নেওয়া হয়।