রক্তাক্ত ভোটেও পাকিস্তানে সাহস আর ইচ্ছার জয়
রক্তাক্ত ভোটের পর পাকিস্তানে এবার গণনা শুরু হয়ে গেল। ভোট গণনার শুরুতে দেখা যাচ্ছে এগিয়ে আছে বিরোধী দলেরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সরগোদা কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন। ভোট গণনা শেষ হতে লেগে যাবে বুধবার সকাল। সোমবারের মধ্যেই অবশ্য অনেকটাই বোঝা যাবে পাকিস্তানের রায় কোন দিকে যাবে।
রক্তাক্ত ভোটের পর পাকিস্তানে এবার গণনা শুরু হয়ে গেল। ভোট গণনার শুরুতে দেখা যাচ্ছে এগিয়ে আছে বিরোধী দলেরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সরগোদা কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন। ভোট গণনা শেষ হতে লেগে যাবে বুধবার সকাল। সোমবারের মধ্যেই অবশ্য অনেকটাই বোঝা যাবে পাকিস্তানের রায় কোন দিকে যাবে।
নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হল পাকিস্তানে। সন্ত্রাস হানা উপেক্ষা করে হাজার হাজারে মানুষ আজ ভোট দিলেন পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে। এদিন করাচি এবং পেশোয়ারে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে পনরোজনের। আহত চল্লিশ জনেরও বেশি। তবু দিনভর ভোট গ্রহণ কেন্দ্র গুলির সামনে ছিল ভোটদাতাদের দীর্ঘ লাইন। যে হারে ভোট পড়েছে তাতে পর্যবেক্ষকদের ধারণা ভোটদানের হার হবে ৭০-৭৭ র শতাংশ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট ৩৪২টি আসনের মধ্যে ভোট নেওয়া হল ২৭২টি আসনে।
ক্ষমতা দখল করতে হলে যে কোনও দলকে কমপক্ষে একশো সাইত্রিশটি আসন পেতে হবে। আজ পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি। তবে ভোট চলাকালীন নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণপন্থী জামায়াতে ইসলামী দল। রিগিংয়ের অভিযোগ এনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। নির্বাচনে অংশ নেওযার জন্য পাক ভোটদাতাদের কাছে আজ আহ্বান ইউসুফজাই মালালা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম পুরো মেয়াদ শেষ করেছে নির্বাচিত এক সরকার। আজকের নির্বাচন পর্বের মধ্যে দিয়ে এবারই প্রথম এক নির্বাচিত সরকার দেশের শাসনক্ষমতা তুলে দেবে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের হাতে। পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক এই প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।