পাক কারাগারে মৃত্যু মুখে লাদেন হত্যার কারিগর
২০১১ সাল থেকে পাক কারাগারে বন্দি রয়েছেন শাকিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে, লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকার কারণে তাকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাক আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সঙ্গীন পরিস্থিতিতে রয়েছেন পাক চিকিত্সক শাকিল আফ্রিদি। কে এই শাকিল আফ্রিদি? ওসামা বিন লাদেন হত্যায় ইনিই নাকি অন্যতম 'কারিগর'। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাক জেলে রীতিমতো ‘পচছেন’ শাকিল আফ্রিদি। শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- নিশ্চিন্তে থাকুন, ৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে না
২০১১ সাল থেকে পাক কারাগারে বন্দি রয়েছেন শাকিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে, লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ থাকার কারণে তাকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাক আদালত। তবে এর পাশাপাশি আরও একাধিক মামলায় জড়ানো হয়েছে শাকিলকে, এমন অভিযোগ শাকিলের পরিবারের। দাবি করা হচ্ছে, বিনা কারণে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে শাকিলের মামলা।
আরও পড়ুন- ঝুঁকলেই স্তনযুগল দেখা যায়, তাই সটান চিঠি সরকারকে!
ওয়াশিংটনের উডরো উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রাম-এর ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল কুগেলমান জানিয়েছেন, শাকিলের বিচার প্রক্রিয়ায় নির্ভর করছে পাক-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর। ২০১৬ এপ্রিলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে শাকিলকে মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৮-র শুরুতেই নতুন করে পাক-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যায়। পাকিস্তানকে সরাসরি ‘প্রতারক’ সম্বোধন করে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেয় ট্রাম্পের আমেরিকা। এর জেরেই শাকিলের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ৭০ মাইল বেগে ঝড়ে অবতরণ বিমানের, ভিডিও দেখলে বুকটা কেঁপে উঠবে
শাকিল কীভাবে যুক্ত হলেন লাদেন নিকেশের সঙ্গে?
পেশোয়ারে খাইবার মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৯০ সালে স্নাতক হয়ে এক এজেন্সিতে ডাক্তার হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন শাকিল। বিশেষত, পাকিস্তানের অনগ্রসর শ্রেণির উপর কাজ করতে শুরু করেন তিনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাবোটাবাদে সিআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুয়ো টিকাকরণের এক ক্যাম্প খুলেছিলেন তিনি। সেখানেই লাদেনের পরিবারের টিকারকরণের নামে ডিএনএ সংগ্রহ করে সিআইএ-র হাতে তুলে দেন শাকিল। কারণ, পাকিস্তান বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল তাদের দেশে লাদেন নেই। মার্কিন সেনাদের কাছেও কোনও খবর ছিল না। কিন্তু এই চিকিত্সকই তাদের কাজ সহজ করে দেয়। লাদেনের পরিবারের ডিএনএ-দিয়েই লাদেনের অবস্থান নিশ্চিত করে সিআইএ।
এদিকে, লাদেনকে সিল বাহিনী হত্যা করার পর পাকিস্তান থেকে সপরিবারে পালানোর চেষ্টা করেন শাকিল। কিন্তু ধরা পড়ে যান তিনি। শাকিলের এই 'কৃতিত্ব' মার্কিন সেনাদের মুখে এখনও 'গাথা' হিসাবে ঘুরে বেড়ায়। এমনকী শাকিলকে ‘হিরো ডাক্তার’ বলে ডাকা হয় মার্কিন সেনাবাহিনীতে।
আরও পড়ুন- বিয়ে করবেন, তাই লোম ছাঁটছেন 'লোমশ মহিলা'