আপনার চেনা-জানা একটা আস্ত দেশের নাম বদলে গেল!
আমাদের কলকাতা এখন ইংরেজিতেও কলকাতা। সেই ক্যালকাটা লুপ্ত! এই তো সেদিন গুরগাঁওয়ের নামও হয়ে গেল গুরুগ্রাম। বম্বে তো কবেই হয়ে গিয়েছে মুম্বই। মাদ্রাজও তো সেই কবে থেকে চেন্নাই। আর আমাদের শহরের মেট্রো স্টেশনগুলো? সে তো এখন বিখ্যাতদের ফটোগ্যালারি!
ওয়েব ডেস্ক: আমাদের কলকাতা এখন ইংরেজিতেও কলকাতা। সেই ক্যালকাটা লুপ্ত! এই তো সেদিন গুরগাঁওয়ের নামও হয়ে গেল গুরুগ্রাম। বম্বে তো কবেই হয়ে গিয়েছে মুম্বই। মাদ্রাজও তো সেই কবে থেকে চেন্নাই। আর আমাদের শহরের মেট্রো স্টেশনগুলো? সে তো এখন বিখ্যাতদের ফটোগ্যালারি!
এবার যেটা বলার। সেটা হল, এবার আস্ত একটা দেশের নামই নাকি বদলে ফেলা হচ্ছে! সেটাও কিনা ব্যবসায়ীদের জন্য! আপনার চেনা দেশ। ইউরোপের চেক প্রজাতন্ত্র। রকস্টারের সাড্ডা হকে যে শহরকে আপনি দেখেছেন। আগে যাকে চেকোস্লোভাকিয়া বলে জানতেন। এবার সেই চেক প্রজাতন্ত্রের নতুন নাম হবে চেকিয়া। আর এটা করা হচ্ছে যাতে ব্যবসা কোম্পানি এবং খেলাধুলার দল তাদের পণ্যের ওপর সহজভাবে এই নতুন নামটি লিখতে পারে! তবে চেক প্রজাতন্ত্র নামটিও বজায় থাকবে।
ফরাসি প্রজাতন্ত্র থেকে যেমন ফ্রান্স হয়েছে, তেমনি চেক প্রজাতন্ত্র থেকে হবে চেকিয়া। ইতিমধ্যেই দেশের সংসদে অনুমোদিত হয়েছে চেকিয়া নামটি। এই নতুন নামের ব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘকেও জানানো হবে। ১৯৯১ সালে তদানীন্তন চেকস্লোভেকিয়া ভেঙে দুটি দেশ হয় – স্লোভেকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র। চেক প্রজাতন্ত্রের সবচেয়ে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে পিলস্নার উরকুয়েল বিয়ার এবং আইস হকি টিম, যাদের গায়ের জার্সিতে শুধু চেক শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো চেক শব্দটি একটি বিশেষণ এবং তাই এটা কোন দেশের নাম হতে পারে না। তবে নতুন নামের সমালোচনাও হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, চেকিয়া নামটি খটমটে। আর তা শুনতে অনেকটা সাবেক রুশ প্রজাতন্ত্র চেচনিয়ার মতো লাগে।