Radioactive Tsunami: আবার এক ভয়ংকরতম সুনামির আশঙ্কা? জেনে নিন নতুন এই বিপদের রহস্য...
Radioactive Tsunami: এবার জলপথ দিয়ে লুকিয়ে শত্রুদেশে হামলা। আর সেই পরিকল্পনা সফল করতেই আবার এক অত্যাধুনিক অস্ত্রপরীক্ষা কিম জন উনের দেশের। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন সেনা। সেই মহড়া চলাকালীনই উত্তর কোরিয়ার এই নিজস্ব অস্ত্রপরীক্ষার ঘটনা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার জলপথ দিয়ে লুকিয়ে শত্রুদেশে হামলা। আর সেই পরিকল্পনা সফল করতেই আবার এক অত্যাধুনিক অস্ত্রপরীক্ষা কিম জন উনের দেশের। এবং আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে আবারও হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়ার। পরমাণু শক্তিচালিত, জলের তলাতেও চলতে পারে এমনই এক বিধ্বংসী ড্রোনের সফল পরীক্ষা করল কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন সেনা। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় মাপের যৌথ মহড়া। আর সেই মহড়া চলাকালীনই উত্তর কোরিয়ার এই নিজস্ব অস্ত্রপরীক্ষার ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: চাঁদের কাছাকাছি ঘুরছে কলকাতা ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতাধর গ্রহাণু...
উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের এই নতুন অস্ত্রটি অত্যন্ত শক্তিশালী। গোপনে জলের তলায় ডুব দিয়ে বহু দূর পর্যন্ত পাড়ি দিতে পারে এটি। তার পর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার আরও দাবি, এই ড্রোন শক্তিশালী তেজস্ত্রিয় সুনামিও তৈরি করতে পারে। যা বিশ্বের যে কোনও বন্দর, নৌসেনা ঘাঁটিকে নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারবে!
আরও পড়ুন: Melting of Himalayas Glaciers: ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে গঙ্গা সিন্ধু ব্রহ্মপুত্র! ভয়ংকর খরার মুখে ভারত...
দক্ষিণ হামগিয়ং প্রদেশের উপকূল থেকে ড্রোনটি ছাড়া হয়েছিল। জলের ৮০ থেকে ১৫০ মিটার গভীর দিয়ে এটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়। প্রায় ৬০ ঘণ্টা পরে এটি পূর্ব উপকূলে ভেসে ওঠে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সফল ভাবে আঘাত হানে। কিম নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সংক্রান্ত ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার তরফে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যে যৌথ মহড়া চালাচ্ছে আমেরিকার নৌসেনা সে প্রসঙ্গে কিম বলেন-- সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা এবং তাদের হাতের পুতুল দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে যুদ্ধে উস্কানি দিতে চাইছে! কিমের এই কথার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বার্তা দিতেই কিম জন উনের এই অস্ত্রপরীক্ষা!
কোরীয় উপসাগরে অবশ্য প্রায়ই অস্ত্রপরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে পরমাণু শক্তিচালিত অস্ত্রের পরীক্ষাও সেখানে চলে। ফলে, বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, আসলে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাদের বন্ধুদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আর একবার হুঁশিয়ারি দিতেই উত্তর কোরিয়া এই নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা করল।